বিজেপি অভিযোগ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল শুধুমাত্র নিহতের কথাই বলছে। সেই অভিযোগকে নস্যাৎ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দেখা করলেন আনন্দ বর্মনের পরিবারের লোকের সঙ্গেও। পাশাপাশি জানালেন রাজ্য সরকারের সাহায্য পাবে ৫টি পরিবারই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আমি ভোট মিটে গেলে যা যা করা দরকার করব। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বুলেটের বদলে ব্যালটে জবাব দেব। আমরা রাজ্য সরকার তদন্ত করছি। যারা প্রকৃত দোষী তারা ছাড় পাবে না।
advertisement
তার কথাতেই আসে রাজবংশী যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু প্রসঙ্গও। তৃণমূল নেত্রী বলেন, রাজবংশী ভাই মারা গিয়েছে। আমি বললে আমাকে ইসি হয়ত আবার নোটিশ ধরাবে। তা দিক তাও বলছি। ভোট মিটলেই শহিদ বেদি হবে।
গত ১০ এপ্রিল শনিবার বেনজির রক্তপাতের ঘটনা ঘটে শীতলকুচির জোড়পাটকি অঞ্চলের ১২৬ নং বুথে। চারজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। সেই দায় স্বীকার করেই বাহিনী জানায়, আত্মরক্ষার্থেই তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগে থেকেই সেনাবাহিনীর অপব্যবহারের অভিযোগ তুলছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে পথে নেমে পড়েন তিনি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে শিলিগুড়িতে পৌঁছলেই নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বের শীতলকুচি যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠে আজ। তারপরেই মমতা শীতলকুচি গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন, বার্তা দিলেন তিনি সব বর্গের ঘরের মেয়ে।