ধনখড় বলেন, অডিট হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। যারা অভিযুক্ত কড়া শাস্তি পাবে। ২০১৭ সাল থেকে অডিট হয়নি। এমনকি কোনও নির্বাচনও হয়নি গত চার বছরে। যা বিস্ময়কর! পাহাড়ে কোনও উন্নয়ন চোখে পড়েনি।উলটে কোটি কোটি কোটি টাকার দূর্ণীতি হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। তাঁর দাবী, পাহাড়ের একাধিক আঞ্চলিক দল, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা গুচ্ছের অভিযোগ জানিয়েছেন। দাবিপত্রও দিয়েছে। একই সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জিটিএর অডিট করার দাবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে সাড়ে ৩ বছর আগে পাহাড়ে পৌঁছে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরাও জিটিএর অডিটের দাবি তুলেছিলেন।
advertisement
যদিও একে গুরুত্ব দিতে নারাজ জিটিএ'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তিনি বলেন, প্রতি বছরই জিটিএ'র অডিট হয়েছে। রাজ্য সরকার অডিট করেছে। স্বচ্ছতার সঙ্গেই জিটিএ পরিচালিত হচ্ছে। একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে পাহাড়জুড়ে। রাজ্যপাল কেন পাহাড়ে আসেন? কী অভিযোগ করবেন? কেন করবেন?...তা আজ সকলেই জানেন। দীর্ঘ হিংসার পর পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব পাল্টা বলেন, "নিয়ম করেই জিটিএর অডিট হয়েছে। সময়মতো পাহাড়ের নির্বাচনও হবে।"
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৭ দিনের পাহাড় সফরে যান সস্ত্রীক রাজ্যপাল। এই সময়ের মধ্যে পাহাড়ে বিজেপির জোট সঙ্গী জিএনএলএফ (GNLF), সিপিআরএম (CPRM), রাষ্ট্রীয় গোর্খা কংগ্রেস, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ সহ-একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেইসময় তারা জিটিএর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
উল্লেখ্য, পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবির মধ্যেই ফের আলাদা গোর্খাল্যাণ্ডের আওয়াজ উঠেছে পাহাড়ে! গত শুক্রবার দার্জিলিংয়ের রাজভবনে পাহাড়ের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে এই দাবিই জানিয়েছেন। নতুন করে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি জিইয়ে তুলেছেন তাঁরা। রাজ্যপালের কাছে পৃথক গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি তুলেছেন বিজেপির জোটসঙ্গী সিপিআরএম নেতা, প্রাক্তন সাংসদ রত্নবাহাদুর রাই। তাঁর দাবি, জিটিএ কোন বিকল্প নয়। ১০০ বছরের পুরনো দাবি গোর্খাল্যাণ্ড। গোর্খাদের আইডেনটিটি হল গোর্খাল্যাণ্ড। এখন আলাদা কোচবিহার রাজ্য, উত্তরবঙ্গ রাজ্যের কথা বলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করতে হবে পাহাড়কে। দার্জিলিং এবং সিকিমকে একসঙ্গে জুড়তে হবে। আর রাজ্যপালের কাছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি আলাদা মাত্রা পেয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
Partha Sarkar