রাজ্যের ২৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাহাড়ের তিন আসন তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন গুরুংদের জন্যে। তারপরও তৃণমূলের পার্বত্য শাখার যুবরা ঘোষণা করেছিল তিন আসনেই দলীয় প্রতীকে লড়বে তারা। কিন্তু আজ কালিম্পংয়ে দলের জেলা কার্যালয়ে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে পাশে বসিয়ে এলবি রাই জানিয়ে দেন একযোগে চলবে প্রচারও।
advertisement
এলবি রাইয়ের ওই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিকমহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। যেখানে প্রথম থেকে বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। সেখানে আচমকা বিনয়পন্থী মোর্চাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিমলপন্থী মোর্চাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা যথেষ্টই ক্ষুব্ধ। যদিও সম্প্রতি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিনয় তামাং ঘোষণা করেছিল তাদের প্রচারে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাবে না। একাই চলার সিদ্ধান্ত নেয় বিনয়পন্থীরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের হয়ে উত্তরের তরাই ডুয়ার্সের ১৮ আসনে প্রচারে জোরকদমে নেমে পড়েন বিমল গুরুং। সমতলে তৃণমূলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রচার চালাতে দেখা যায়। এতেই বিমলপন্থী মোর্চাকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয় পার্বত্য তৃণমূল। পার্বত্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি লাল বাহাদুর রাই বলেন, "বিমল গুরুং খোলাখুলিভাবে তৃণমূলের হয়ে সমতলে প্রচার চালাচ্ছে। আমাদেরও দায়িত্ব তাঁদের সমর্থন করার। পাহাড়ে বিজেপিকে রুখতে হবে। লড়াইটা বিজেপির সঙ্গেই। তবে আমরা জিতবই।" তৃণমূলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিনয় তামাং বলেন, ২০১৭-তে যাদের পাহাড় ছাড়া করেছিল তৃণমূল, আজ তাঁদেরকেই সমর্থন জানাল। ওদের জন্যে শুভেচ্ছা। এ বার লড়াই নির্বাচনে। অন্যদিকে, এতে খুশি রোশন গিরি বলেন, পার্বত্য তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। জয়ের পথ আরও মসৃন হল।"
Partha Sarkar