কোন পথে শিলিগুড়িতে আসছে চোরাই সোনা ৷ একেবারে মায়ানমার সীমান্ত টপকে অসম হয়ে সোজা শিলিগুড়ি। তারপর শিলিগুড়ি থেকেই কখনও কলকাতা, কখনও বা দিল্লি সহ অন্য রাজ্যে পাচার হয়ে যাচ্ছে সোনা। উত্তর-পূর্ব ভারতের সোনার প্রবেশদ্বার যেন শিলিগুড়ি। যোগাযোগ মাধ্যমও যথেষ্টই উন্নত। আর একেই হাতিয়ার করে আন্তঃ রাজ্য তো বটেই আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে।
advertisement
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা মন্ত্রক বা ডি আর আইয়ের অফিসারেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে উদ্ধার করছে সোনা। কখনও সড়ক পথ, আবার কখনো পাচারকারীরা ব্যবহার করছে রেল পথ। আকাশ পথেও দু'বার পাচারের পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়েছে পাচারকারীরা।
এবারে মায়ানমার থেকে দিল্লি পাচারের ছক কষেছিল মহারাষ্ট্রের এক পাচারকারী। এনজেপি স্টেশন থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় ১০টি সোনার বাট। যার বাজার দর ৬৮ লাখ টাকা। জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে যে এই সোনা দিল্লিতে পাচারের ছক ছিল। মায়ানমার থেকে আনা হয় সোনা।
কিভাবে মায়ানমার সীমান্ত অবাধে পার করে অসম হয়ে শিলিগুড়ি ঢুকে পড়ছে পাচারকারীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মেঘালয়, অসম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের একটা বড় চক্র এই পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। ডি আর আইয়ের আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা জানান, ধারাবাহিক অভিযানে প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে পাচারকারীরা। কেন্দ্রীয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সোনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হয়।
কিভাবে গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে পাচারকারীরা আনছে সোনা??? কখনও গাড়ির সিটের নীচে, কখনও আবার কোমরে অত্যাধুনিক বেল্ট বানিয়ে সোনা পাচার করছে পাচারকারীরা। গ্রেপ্তারও হচ্ছে পাচারকারীরা। আবার জেল থেকে ছাড়াও পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিং পিনের হদিস নেই।
Partha pratim sarkar