২০১৭ সালে পাহাড়ের অশান্তির পরে বিমল ও তাঁর অনুগামী পাহাড় ছেড়ে চলে যান। তখনই তাঁদের নাম বাদ যায়। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফের পাহাড়ে ফেরার পরে শুরু করেন লিস্টে নাম তোলার তোরজোর। বিমল গুরুং-সহ বাকিদের নাম ভোটার লিস্টে এলেও নাম নেই রোশনের। রোশনের দাবি, তিনি আবেদন করেছিলেন। যদিও তিনি ভোট দিতে পারলেন না।
advertisement
রোশন গিরির কথায়, "আমি এই দেশের নাগরিক। আমার হতাশ লাগছে। আমি ভোটে প্রচার করলাম কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। এর জন্য কে দায়ী আমি জানি না।"
প্রসঙ্গত এদিন সকালেই ভোট দিয়েছেন বিমল গুরুং। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নিউজ১৮কে। সে কথা জানাতেই হতাশ রোশন গিরি বললেন, "আমাকে হতাশ করেছে গোটা বিষয়টা। কাকে দোষ দেব আমি? বিমল দাজুর নাম অবধি এল। আমার বিরুদ্ধে এত মামলা নেই। তাও আমি ভোট দিতে পারলাম না।"
নভেম্বরে পাহাড়ে ফেরেন রোশন গিরি। কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে একটি সভা থেকে স্পষ্ট ঘোষণা করেন বিজেপির সঙ্গে আর নয়। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধোঁকা দিয়েছে। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিই আনুগত্য প্রকাশ করেন রোশন। গুরুংয়ের জন্য তাঁকে একাধিক সভা আয়োজন করতেও দেখা যায়। যদিও বিনয়-অনীতদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করতে চাননি রোশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শত চেষ্টাতেও এক করতে পারেননি দুই দলকে।
প্রসঙ্গত সকাল ৯ পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ১৬.১৫%। দার্জিলিংয়ে ভোট পড়েছে ১৪.৭৩%। কালিম্পং-এ ভোট পড়েছে ১৪%।