শহরের বিভিন্ন বাজারের প্রতি দিনকার বর্জ্য ফেলা হয় নদী গর্ভে। আবার নদীর চর দখল হয়ে গড়ে উঠেছে জনবসতি। সেই জনবসতির যাতবীয় ব্যবহৃত বর্জ্যও প্রতিদিন ভেসে বেড়ায় এই দুই নদীর বুক দিয়ে। দূষণে টেকা দায়! আগে এই দুই নদীতে মিলতো উত্তরবঙ্গের অতি প্রিয় নদীয়ালী মাছ। আর আজ মাছ তো দূরের কথা, পোকামাকড়, কীটপতঙ্গেরও দেখা যায় না। একেই দিন দিন কমছে নদী দুটোর নাব্যতা। তারওপর দূষণ!
advertisement
আরও পড়ুন: 'বিজেপি থাকছে', মোদি ও গেরুয়া শিবিরের শক্তির রহস্য কোথায়? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
এনিয়ে তিতিবিরক্ত পরিবেশপ্রেমীরা। বহুবার আন্দোলন হয়েছে, ডেপুটেশন হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে 'দেখছি, দেখবো' বলে ঘোষণাও করে। কিন্তু ওখানেই আটকে যাবতীয় প্রতিশ্রুতি। পরিবর্তে যত দিন যাচ্ছে, সংকুচিত হচ্ছে নদী, বাড়ছে দূষণের মাত্রা। এজন্যে প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন পরিবেশপ্রেমী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, নদী দুটোর দু'পার সৌন্দার্যায়ন করলে মর্নিং বা ইভিনিং ওয়াক করতে পারত শহরবাসী। শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক শঙ্খ সেনের দাবি, ''আমাদের দেশ তো বটেই রাজ্যও নদীমাতৃক। শহরের বুক চিড়ে যাওয়া দুটি নদী যেখানে হতে পারতো আমাদের গর্ব, অহঙ্কার। উলটে আজ সেই দুই নদী মশাবাহিত রোগের আঁতুরঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে।'' এ নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক গৌতম দেব দায়ী করেছেন বাম পরিচালিত বোর্ডকেই।
আরও পড়ুন: গোয়ার পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সফরের শুরুতেই যা ঘটল, ফুঁসে উঠছে তৃণমূল
তাঁর আশ্বাস, শহরবাসীর স্বার্থে নদী দুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের পালটা দাবি, নদী দুটি নিয়ে যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা বাম আমলেই। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর এসজেডিএ নদী দুটির সংস্কারের নামে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। যা থেকে আজও বেড়িয়ে আসতে পারেনি। বর্তমান সরকার নদী দুটি নিয়ে কিছুই ভাবেনি বলে অভিযোগ তাঁর। নদী দূষণ নিয়ে শাসক ও বিরোধী তরজা চলছে, চলবেও। সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আটকে। শহরবাসীর দূর্ভোগ বাড়ছে দূষণে!