শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। আজ সেখানে গর্ভবতী মহিলা ও ১২ বছর বয়সি পর্যন্ত শিশুদের মায়েদের ৩০০ টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাইনে তার চেয়ে কয়েক গুণ মহিলা এসে দাঁড়ান। এতেই বিপত্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কালঘাম ছুটেছে পুলিশেরও।
যেখানে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা এবং নাক ও মুখ মাস্কে ঢেকে বের হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের, সেখানে টিলার লাইনেই ধরা পড়ল উলটো ছবি। কোথায় পারস্পরিক দূরত্ব! মুখে মাস্কেরও বালাই নেই। নিয়ম ভাঙতেই একজোট সবাই। কোভিড প্রতিষেধক নিতে এসে উলটে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন মানুষ।
advertisement
টিকা দেওয়ার কথা ছিল ৩০০ জনকে। আর ভোর রাত থেকে লাইনে কয়েকগুন মহিলা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে লাইন বাড়তে থাকে। কোভিড বিধিও ভুলতে থাকে। কেউ এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু সবার টিকা মজুত না থাকায় চললো ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি। নিয়ন্ত্রণে আনতে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ পৌঁছলেও প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়। দীর্ঘক্ষন বন্ধ ছিল টিকাকরণ। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাইনে কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না। এই টিকা কেন্দ্র থেকেই কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। অবশেষে কুপন বিলির ব্যবস্থা করা হয়। তাকে ঘিরেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই ছবি এর আগে শিলিগুড়ির কোনও প্রান্তেই ধরা পড়েনি। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক প্রলয় আচার্য্য জানান, টিকার ঘাটতি নেই জেলায়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে।
পার্থ সরকার