ভোটের উত্তাপের মধ্যেই আচমকাই কেঁপে উঠল উত্তরের (North bengal) পাহাড় থেকে সমতল। এক কম্পনে বাসিন্দারা তড়িঘড়ি নেমে আসেন রাস্তায়। তখনও বিদ্যুতের তার দুলছে। বাড়ির খাট, সিলিং ফ্যানও দুলছে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে বাসিন্দারা। সোমবার রাতের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠছে উত্তরের ৮ জেলাই। লাগোয়া সিকিমও (Sikkim) জেগে উঠল রাতে। ভূ-কম্পনের উৎসস্থল সিকিম-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। সিকিমে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। আচমকা কম্পনে পুরনো স্মৃতি হাতরাতে শুরু করেন উত্তরবঙ্গবাসী।
advertisement
২০১১-তে বিশ্বকর্মা পুজার দিন বিকেলে কেঁপে উঠেছিল গোটা উত্তরবঙ্গ (North Bengal) । সেবারে উৎপত্তিস্থল ছিল উত্তর সিকিমের মঙ্গন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। বহু বাড়ি, ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তারপর ২০১৫-র এপ্রিলের এক দুপুর। সেবার শিলিগুড়ি পুরভোটের দিন দুপুরে আচমকা কম্পনে কেঁপে ওঠে শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গ। নির্বাচনী বুথ থেকে ভোটাররা তড়িঘড়ি বেড়িয়ে আসেন। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন বুথেও কমে যায় ভোটারের সংখ্যা। বিকেলের দিকে ফের কম্পন অনুভূত হয়। সেবার উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল। ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল নেপালের। ভেঙে পড়েছিল নেপালের পর্যটন শিল্প। পরদিনও আফটার শকে বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল সহ উত্তরবঙ্গ। বেশ কয়েক রাত বাড়ির বাইরে মাঠেই বাসিন্দারা নিয়েছিলেন অস্থায়ী ঠাঁই।
আজ রাতে নতুন করে কেঁপে ওঠায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। তখন পাহাড়ের অনেকেই ঘুমে আচ্ছন্ন। আচমকা কম্পনে মূহূর্তেই ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসা। এ দিকে সমতলে তখন চলছিল নির্বাচনী প্রচার, সভা। ব্যস্ত নেতা থেকে সাধারন দলীয় কর্মীরা। ভূমিকম্পের জেরে হুলুস্থল পড়ে যায়। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। বহুতলের বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসেন। আফটার শকের অপেক্ষায় বেশ কিছুক্ষন বাইরেই কাটান। তবে এখনও পর্যন্ত বড়সড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
Partha Sarkar