উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বার শহর শিলিগুড়ি। আন্তঃ রাজ্য সীমান্ত এবং অন্তর্দেশীয় সীমানায় মোড়া শহর শিলিগুড়ি। দিন দিন বাড়ছে শহরের গুরুত্ব। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধও। ভিন রাজ্য বা ভিন দেশি অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিলিগুড়ি। সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে কাটিহারের মেয়র খুনের মূল পাণ্ডার গ্রেপ্তারের পর তা অনেকটাই পরিষ্কার। পাশাপাশি সিকিমে হেরোইন পাচারের দুই চক্রীকেও গ্রেফতার করা হয় এই শহর থেকেই। এবার থেকে শহরের অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা নেবে এই ড্রোন।
advertisement
আজ এই পরিষেবারই উদ্বোধন হল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি পুলিশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এরিয়াল সার্ভিলেন্সের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। আপাতত মহাত্মা গান্ধী মোড়ে থাকবে এই ড্রোন। পরবর্তীতে শহরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক পয়েন্টেও বসবে ড্রোন। শহরের যানজট থেকে আইন শৃঙখলা সবেরই নজরবন্দি করবে ড্রোন। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তা মনিটরিং করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দিকনির্দেশ করবেন।
কোথাও জমায়েত হলে তা বলে দেবে ড্রোন। আবার কোথাও দীর্ঘক্ষন ধরে যানজটে জেরবার শহর, তাও ধরা পড়বে ড্রোন ক্যামেরায়। পুজা থেকে বিভিন্ন বড় বড় অনুষ্ঠান কন্ট্রোলের ক্ষেত্রেও ড্রোনের ভূমিকা হবে অনস্বীকার্য। শিলিগুড়ি শহরে প্রতিদিনের আইন শৃঙ্খলার ওপর নজরদারি চালাবে এই ড্রোন। সেই সঙ্গে কোভিড মোকাবিলায় যে নাইট কার্ফু চলছে, আজ থেকে তারও মনিটিরিং করবে এই পরিষেবা। এর আগে লকডাউনের সময়েও শিলিগুড়ি পুলিশ ড্রোনের ব্যবহার করেছিল।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, নয়া এই প্রক্রিয়ায় শহরের আইন শৃঙখলা মোকাবিলা আরো জোরদার হবে। এর মধ্যে রেকর্ডিংয়ের সুবিধে থাকছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সহজেই রেকর্ড করা যাবে এবং কাজে আরো গতি আসবে। আগামী দিনে শহরে যেভাবে এর গুরুত্ব বাড়বে, সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।