কোভিড প্রোটোকল মেনেই পাহাড়ে আসছেন পর্যটকেরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। মেঘলা আবহাওয়া, বৃষ্টি সব ম্লান করে দিয়েছিল গত ৩ দিন। মুখ ভার ছিল পর্যটকদেরও। অবশেষে এল স্বস্তি।
সন্ধ্যায় জমজমাট থাকে ম্যাল। অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। গায়ে শীতের বস্ত্র তুলে নিয়ে সোজা ডেস্টিনেশন ম্যাল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে জমিয়ে আড্ডা দেওয়াই শৈলশহরে ঘোরার বড় ট্রেন্ড। এর অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন পর্যটকরা। তাই রবিবার ম্যালের চারপাশ মূহূর্তেই ভরিয়ে তোলেন পর্যটকরা। চললো দেদার সেল্ফি আর গ্রুফি তোলার হিড়িক। একেই কোভিডের জেরে বন্ধ চিড়িয়াখানা সহ একাধিক ট্যুরিস্ট স্পট। তাই পর্যটকদের সামান্য মন ভার তো আছেই। সেই জন্যই এখন ভ্রমনপিপাসুদের একটাই ঠিকানা- ম্যাল।
advertisement
হালকা ঠাণ্ডা। সমতলের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতেই তো এই অসময়ে পাহাড়ে ছুটে আসেন পর্যটকরা। দম বন্ধের পরিবেশ থেকে মুক্তির টানেই তাঁরা চলে আসেন দার্জিলিংয়ে। বর্ষার পাহাড় তাদের কাছে আরও যেন সুন্দর হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যেয় পাহাড়ের চারপাশের আলোয় মুগ্ধ হয়ে ওঠেন পর্যটকরা। পর্যটকদের ঘুরতে আসার উৎসাহ দেখে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। সামনেই পুজোর মরসুম। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে কিছুটা হলেও মাথা উঁচু করে হাঁটতে পারবে পর্যটন শিল্প বলে আশাবাদী তাঁরা।
সন্ধ্যের ঠিকানা যখন ম্যাল, তখন সকালের প্ল্যানও তৈরি পর্যটকদের কাছে। ঘুম থেকে উঠে সোজা দার্জিলিং স্টেশন। টয়ট্রেনে জয় রাইড। দার্জিলিং থেকে বাতাসিয়া লুপ হয়ে ঘুম স্টেশন। পাহাড়ি পাকদণ্ডীতে হেলতে দুলতে টয়ট্রেন সাফারি। আবহাওয়া সঙ্গ দিলে ঘুরতে আসার মজা লুফে নিতে পারছেন পর্যটকরা। তাই পুজোতেও করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও পর্যটকরা যে ফের ভিড় জমাবেন তা বলাই বাহুল্য।