এখনও ঠাকুর দেখা বাকি। তার আগেই দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি। সবচাইতে বেশি প্রভাব পড়েছে সমতলের শিলিগুড়িতে। কারণ মাস্কের ব্যবহার প্রায় কমেই গিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা কোভিড (Coronavirus) বিধি মেনে চলার ঘোষণা করে চলেছেন। তবু হুঁশ ফিরছে না শহরের।
যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসছিল শহরে। এক অঙ্কের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। তা আবার বাড়ছে। নতুন করে চিন্তা বাড়ছে। প্রতিদিনই শহর তো বটেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সমতলের গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকাতেও। পাহাড়েও পর্যটকদের ভিড়। পুজোর সময়ে আরও বাড়বে ভিড়। কোভিড বিধি মেনে না চললে সমূহ বিপদ! কিন্তু কে তা বোঝাবে! উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে দার্জিলিং।
advertisement
কোভিড (Coronavirus) আক্রান্তের ক্ষেত্রে উপসর্গহীন কেসই বেশি। তাই সহজে বোঝার উপায় নেই। টেস্টের সংখ্যাও অনেকটাই কমে এসছে। কোভিড পরীক্ষা করার প্রবণতা কমায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম মনে হলেও বাস্তবে কি তাই? শিলিগুড়িতে পুজোর বাজার করতে আসা ক্রেতাদের অধিকাংশেরই মুখে দেখা নেই মাস্কের। আবার কারও কারও মাস্ক ঝুলছে গলা বা থুতনিতে। জিজ্ঞেস করতেই "এই মাত্র খুললাম!", " বাড়ি থেকে আনতে ভুলে গিয়েছি, এক্ষুনি কিনবো!", "হ্যাঁ, এটা আমার ভুল" গোছের উত্তর আসছে।
আবার কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করার আগেই ছুটে পালাচ্ছেন। অনেকেরই দাবি, টিকার ডাবল ডোজ নেওয়া হয়েছে। তাই আক্রান্তের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা বলছেন না। ডাবল ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। হয়তো হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। কিন্তু বাড়িতেই চিকিৎসা চলবে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গেলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মানতে হবে। নইলে গ্রাফ আরও বাড়তে পারে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে বহু প্রিয়জনকে হারিয়েছে এই শহর। শহরবাসী কি এবারে সচেতনতার পরিচয় দেবে না?
পার্থ সরকার