মাত্র ২০ টাকা সহপাঠী দিতে না পারায় তাকে বেধরক মারধরের এই ঘটনা মনস্তত্ত্ববিদদেরও গভীর চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তাঁরা দ্রুত এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিল। এই নিয়ে আক্রান্ত ছাত্রের অভিভাবকদের পাশাপাশি অভিযুক্ত ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। কিন্তু অভিযুক্ত পড়ুয়ার উপর আক্রান্ত ছাত্রের অভিভাবকরা আর ভরসা রাখতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত ছাত্রের বাবা অলোক মালো বলেন, একটা পরিষ্কার বিষয় নিয়ে অনেক টালবাহানা চলছিল স্কুলে। কিন্তু সবকিছু দেখে ছেলের ভবিষ্যতের বিষয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এই অবস্থায় ঝুঁকি নেওয়ার কোনও মানে হয় না। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রকার অনুরোধ রাখতে আমরা অপারগ। সেই কারণে ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে টিসি নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম স্বাধীন সরকারে নেহেরুরা কেউ ঠাঁই পাননি, ছিলেন পটাশপুরের এই মানুষটি! জানেন কে?
এই বিষয়ে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আক্রান্তের অভিভাবকেরা আতঙ্কিত। ওনারা ছেলেকে আর এই স্কুলে পড়াতে চাইছেন না। তাই টিসি’র আবেদন জানিয়েছিল, আমরা দিয়ে দিয়েছি। তবে আবারও সে যদি আমাদের স্কুলে ভর্তি হতে চায় স্বাগত জানাব। পাশাপাশি তিনি জানান, অভিযুক্ত ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত। লিখিত চাওয়া হয়েছে। তারপর ঠিক করা হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়টি স্কুলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি নির্ধারণ করবে বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন