সমাজের আর পাঁচটা বিয়ের মতোই হিন্দু মতে পুরোহিতের মন্ত্রোচারণের মধ্য দিয়েই হল বিয়ে। বরযাত্রী থেকে নিমন্ত্রিতদের তালিকা ছিল কোভিড বিধি মেনেই। বাজলো সানাই। ছিল ব্যাণ্ডপার্টিও। কারা বাজালেন? ব্যাণ্ডের সুর, তাল ধরলেন দৃষ্টিহীন স্কুলেরই আবাসিকেরাই। বিয়ের জন্যে বিধাননগরের বাজারে থলে হাতে নামেন বাপন দাস, মিন্টু দাস, রিপন ঘোষ, আশীষ দাস, অনন্ত রায়েরা। সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সকলেই। মেনুতে ভাত, ডাল, ভাজা, মাংস, চাটনি, দই, মিষ্টি সবই ছিল। দৃষ্টিহীন স্কুলের অন্য আবাসিকেরা দেদার মজা করলেন। খুশী নব দম্পতিও।
advertisement
জ্যোৎস্না এবং বাপির বন্ধু-বান্ধবেরাও এই বিয়ের সাক্ষী হতে পেরে খুশি। আমন্ত্রিত সকলেরই আশির্বাদে ওদের নতুন জীবন সুখী হোক, এটাই চাওয়া। তাই এক অন্য আড়ম্বরতা ছিল অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এক রূপ কথার বিয়ে যে! নব দম্পতিও নতুন জীবনে পা রাখতে পেরে খুশি!সমাজসেবী বাপন দাস জানান, এভাবে সকলে এগিয়ে এলে সব সম্ভব। আজ ওদের দু'জনের ইচ্ছে পূরণ হল। এটাই বড় প্রাপ্তি। পাত্র বাপি চক্রবর্তী বলেন, কোনোদিন এভাবে বিয়ে হবে ভাবিনি। রীতিমতো ঝাঁকজমক করেই হল। সকলের আশির্বাদে নতুন জীবন ভাল করে কাটাতে চাই। আর পাত্রী জ্যোৎস্না দাসও চান সকলের আশীষে দাম্পত্য জীবন সুখে কাটুক।