পার্কের ব্ল্যাক বিয়ার এনক্লোজারের বাথটবে বরফ নিয়ে খেলায় মত্ত পর্যটকদের অতি প্রিয় 'ড্যাডি'! আপনমনে আইস বার নিয়ে এপাশ ওপাশ খেলছে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার। এই গরমে তার শুধুই স্বস্তির খোঁজ। দিনভর সাফারি পার্কে একাই মত্ত থাকে সেই ড্যাডি।
২০১৮ সালে সিকিমের জুলজিক্যাল পার্ক থেকে শিলিগুড়ি লাগোয়া বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা হয় দুটি ব্ল্যাক বিয়ারকে। একজন 'ড্যাডি', অন্যজন 'ফুরবু'। সাধারণত কম তাপমাত্রায় বেড়ে ওঠে ব্ল্যাক বিয়াররা। কিন্তু আজ তাপমাত্রা বাড়ায় কাহিল হয়ে পড়ে 'ড্যাডি'। সাফারি পার্কের বনকর্মীদের নজরে আসতেই দুটো বরফের চাঁই দেওয়া হয় ব্ল্যাক বিয়ারের এনক্লোজারে। একটি মাথায় নিয়ে আর অন্য চাঁই পায়ের নীচে নিয়ে কিছুটা স্বস্তি পায় সে।
advertisement
আপন মনে আইস বারের দুটো টুকরো নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে সে। তখন গাছের আড়ালে রোদের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছে ফুরবুও। এছাড়াও আরও দুটি ব্ল্যাক বিয়ার রয়েছে সাফারি পার্কে। কোভিডের জেরে বন্ধ পার্কের দরজা। নেই পর্যটকদের আনাগোনা। চারদিক নিরিবিলি। নেই ফ্ল্যাশ বাল্বের ঝলকানিও। আর তাই নির্জনতায় বন্যপ্রাণীরা। কোভিড আবহ কাটিয়ে কবে স্বাভাবিক হবে সাফারি পার্ক, তা এখোনও স্পষ্ট নয়। তাতে কী এসে যায়। বন্যপ্রাণীদের স্বমহিমায় কাটছে দিনগুলো।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ জানান, তাপমাত্রার পারদ চড়ায় আজ ব্ল্যাক বিয়ারের এনক্লোজারে খোঁজ নেওয়া হয়। প্রচণ্ডে গরমে হাঁপিয়ে উঠছিল সে। আর তাই দেওয়া হয় বরফের চাঁই। তারপরই খেলায় মেতে ওঠে 'ড্যাডি'। এদিকে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে গতকালই জন্ম নেয় দুই রেড পাণ্ডা শাবক। তার আগে গত এপ্রিলে জন্ম নেয় তিন স্নো লেপার্ড শাবক।
Partha Sarkar