উত্তরবঙ্গে সংগঠনকে মজবুত এবং উন্নয়নের বিকাশই যে তাদের একমাত্র পথ, তা মঙ্গলবার সাফ জানান নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভার দুই সদস্য। তাদের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা উত্তরেও বাস্তবায়িত করবো আমরা। উন্নয়নের নামে সন্ত্রাস, অত্যাচার চলছে এ রাজ্যে। নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। আর তাই আজ স্বাগত জানাতে আসার পথে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কোথাকার আইন? এটা কি গণতন্ত্র? মানুষ সব দেখছে। আসন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিই জয়ী হবে। ভয় পাওয়ায় আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে সংখ্যালঘুদের জন্য কি করেছেন? কেন্দ্র উন্নয়ন চায় উত্তরবঙ্গের। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে রাজ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়ায় ব্যস্ত রাজ্য। ২০২৪-এও ভালো ফল করবে বিজেপি।" শিলিগুড়িতে বলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। আলিপুরদুয়ারে জমি-সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আগের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, সবই মিথ্যে আজ প্রমাণিত। আজ দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হিসেবে পুরোটাই সামনে চলে এসছে। আর পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য নিয়ে অবশ্য নীরব বার্লা বলেন, ওটা সাধারণ মানুষের দাবি। এখন প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব আমায় দিয়েছে সেটা করাই লক্ষ্য।’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, "এটা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাংলা। এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা। এই বাংলার হারিয়ে যাওয়া গরিমা আমরা ফিরিয়ে আনবো। তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। ওরা ভাবেনি একজন আদিবাসী সমাজের কেউ মন্ত্রী হবেন, একজন রাজবংশী বা মতুয়া সম্প্রদায়ের কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবেন। তাই আজ তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়কদের গ্রেফতার করছে। বাংলার মানুষ সব দেখছে। বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই।"
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সেইসঙ্গে ত্রিপুরা নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সর্বত্রই দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। উৎসাহ, উচ্ছ্বাসেও কোনও খামতি ছিল না। আসন্ন পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সার্বিক উন্নয়নকে সামনে রেখেই যে তারা এগোবেন তা আজ বুঝিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
পার্থ প্রতিম সরকার