গত বছর পাহাড়ের ত্রিবেণীতে পৃথক কোভিড হাসপাতাল তৈরী করা হয়। এ বারে দার্জিলিংয়ের টাকভারের মালিধুরায় তৈরী করা হল আইসোলেশন সেন্টার। ৪০ বেডের এই আইসোলেশন সেন্টার তৈরী করলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন "কাঞ্চনজঙ্ঘা আইশোলেশন সেন্টার"। আজ কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সিপি শর্মা, বিমল গুরুং। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্যে পৃথক ২০টি করে বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে অক্সিজেন পরিষেবাও। সম্পূর্ণ বিনা খরচে কোভিডের প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে এই সেন্টারে। থাকছে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স। রোগীদের বাড়ি থেকে সেন্টারে আনা এবং সুস্থ হয়ে উঠলে ফের পৌঁছে দেওয়া বা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য থাকছে এই ফ্রি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা।
advertisement
বিমল গুরুং জানান, পাহাড়ের পুর এলাকার বাসিন্দাদের জন্যে সরকারী হাসপাতালের সুবিধে তো থাকছেই। কিন্তু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা, চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতেও ছড়াচ্ছে করোনা। যাদের পক্ষে সরকারী হাসপাতালে পৌঁছন কার্যত দুষ্কর। তাঁদের সুবিধার্থেই গড়ে তোলা হয়েছে এই আইসোলেশন সেন্টার। যেখানে চিকিৎসক, ১০ জন নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মী থাকবেন সবসময়ই। ওষুধ থেকে অক্সিজেন সব পরিষেবাই মিলবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা অন্যত্র রেফার করলে সংক্রমিতদের নিয়ে যাওয়া হবে। এই সেন্টার চালু হওয়ায় সুবিধে পাবে পাহাড়ের গ্রাম, বস্তি, চা বাগানের বাসিন্দারা।
Partha Sarkar