২০১৯-এ লোকসভায় ভোটে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিল সিপিআরএম। একুশে বিজেপি এককভাবে পাহাড়ের তিন আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ পাহাড়ের এই দল। বিজেপি জোট ধর্ম মানেনি। এই অভিযোগ তুলে পাহাড়ের তিন কেন্দ্রেই পৃথকভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল সিপিআরএম। আজ তিন কেন্দ্রের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করল তারা। দার্জিলিং থেকে লড়বেন সুনীল রাই। কার্শিয়াং থেকে অরুণ ঘাতানি এবং কালিম্পং থেকে লড়বেন কিশোর প্রধান। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
advertisement
অন্যদিকে বাড়ছে বিজেপি-জিএনএলএফ সংঘাত! আলাদা করে পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থী দিতে পারে জিএনএলএফ-ও৷ সিদ্ধান্ত কাল সকালে ঘোষণা করবে তারা। আজ রাতেই বৈঠকে বসছে জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটি। প্রার্থী নিয়ে কালিম্পংয়ে ক্ষোভ বিজেপির অন্দরেই। দু' দিন আগে গুরুং শিবির ছেড়ে যোগ দেওয়া শুভ প্রধানকে প্রার্থী করে বিজেপি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আদি বিজেপি নেতারা। দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।
পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল গুরুংপন্থী মোর্চা। দার্জিলিংয়ে পি টি ওলা, কার্শিয়ংয়ে নরবু লামা এবং কালিম্পংয়ে তাদের প্রার্থী রাম ভুজেল।
অন্যদিকে তিন আসনেই জয়ের বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী গুরুং। আজ দার্জিলিংয়ে দলীয় তিন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর বিমল গুরুং বলেন, 'মাঠে নেমেছি। ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী পেলে ভাল খেলা হবে। আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। ব্যবধান বড় কথা নয়, তিন আসনেই জয় নিশ্চিত।' সেইস ঙ্গে বিজেপি-কে কটাক্ষ করে বলেন, 'ওরা প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ায় সদ্য আমাদের দল থেকে ছেড়ে যাওয়া দু' জনকে প্রার্থী করেছে।' জিএনএলএফ এবং সিপিআরএমের কাছে সমর্থন চাইবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে একুশের লড়াইয়ে পাহাড়ের তিন আসনেই বিনয়পন্থী মোর্চাকে সমর্থন জানালো ১৩টি জনজাতির উন্নয়ন বোর্ড। আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করলেন লেপচা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এল এস থামসাং। তিনি বলেন, 'বিনয়দের হাত ধরে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসছে। উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে। তাই ওরাই প্রথম পছন্দ।' এক সুরেই কথা বলেন ১৩টি বোর্ডের কর্তারা। পাহাড়ে ১৮টি উন্নয়ন বোর্ড রয়েছে। তার মধ্যে ১৩টি বোর্ডের সমর্থন আদায় করে নিলেন বিনয়-অনীতরা। বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং- মোর্চার দুই শিবির আলাদা প্রার্থী দিলেও দু' পক্ষই তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন৷
Partha Pratim Sarkar