দিন কয়েক আগে মাটিগাড়ার পরিবহন নগরের কাছে রাস্তার ধারে এক মহিলার দেহ উদ্ধার (Murder) করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর সেই রিপোর্টই পায় পুলিশ। মৃতার স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে পুলিশ মহম্মদ আখতারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই সামনে আসে প্রেমিকার দেহ লুকিয়ে রাখার কাহিনী। যা হাড় হিম করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়িতে আতঙ্ক! হঠাৎ জ্বর-পেট খারাপে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বহু শিশু
মাটিগাড়ারই এক তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। তারই তদন্ত চলছিল। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত মহম্মদ আখতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আখতার। ঘটনার দিন একসঙ্গে মদ্যপানও করেছিল বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করে সে। আজ তাকে নিয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মাটিগাড়া রেল লাইনের ধারেই একটি জমিতে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল তরুণীর দেহ। আজ পুলিশ মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, চার মাস মাটিতেই চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল দেহ। সম্ভবত শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তারপর কম্বল দিয়ে মৃতদেহ মুড়িয়ে মাটির নীচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। দেহ পচে কার্যত কঙ্কালসারে পরিণত হয়। তরুণীর মা দেহ শনাক্তও করে।
কেন এমন নৃশংস খুন? ফের জেরা শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহম্মদ আখতারের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। জোড়া খুনে অভিযুক্ত আখতারের সঙ্গে কি আর কেউ ছিল? অন্য আরও কোনও ঘটনার সঙ্গেও কি জড়িত? তদন্তে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।