এই মূহূর্তে শুধু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন ১৩৯ জন শিশু! যার মধ্যে ভাইরাল ফিভারের উপস্বর্গ নিয়ে ভর্তি ৮৫ জন শিশু। প্রায় বেড শূন্য! আক্রান্তের গ্রাফ বাড়ায় বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যাও। সংক্রমণ না কমলে আরও বেড বাড়াতে হবে। এ নিয়ে তৎপর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষও। শিশুদের শরীরেও থাবা বসিয়েছে কোভিড। যদিও আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক।
advertisement
পাশাপাশি এর মধ্যে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণও। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। গত কয়েক দিন ধরে দুই সংখ্যায় পৌঁছছে সংক্রমণ। পুজোর আগে যা দুশ্চিন্তার বটে। এমনটাই তো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। জমজমাট পুজো বাজার। উধাও মাস্ক বা ফেস কভার। দূরত্ব বিধির তো বালাই নেই! কে কাকে বোঝাবে! শহরজুড়েই সর্বত্র একই ছবি যে! ভিড়ে ঠাসা বাজার, মার্কেট। চলছে দেদার কেনকাটা। কিন্তু উধাও স্বাস্থ্য বিধি! শহরের এই ছবি জানান দিচ্ছে সচেতন না হলে পুজোর পর কয়েক গুন বেড়ে যাবে সংক্রমণের সংখ্যা! কিন্তু হুঁশ ফিরছে না শহরের।
শহরবাসীর হুঁশ ফেরাতে এবারে পথে নামলো ‘গিভ লাইফ সোসাইটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণ-তরুণীরা! ভিড়ঠাসা শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ঢাক নিয়ে হাজির! ঢাক পিটিয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে পথে ওরা। মাস্কহীনদের মুখ ঢাকতে ওরা আজ হাতে তুলে দিল সার্জিক্যাল মাস্ক। পুজোয় আনন্দে মেতে উঠতে মাস্ক মাস্ট! এই বার্তাই পৌঁছে দিল ঢাক পিটিয়ে! সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরজুড়েই টানা কয়েকদিন কোভিড সচেতনতায় প্রচার চালিয়ে যাবেন। কোভিডের হাত থেকে শহরকে বাঁচাতে উদ্যোগী ওরা ৷
পার্থ প্রতিম সরকার