গত ৭ জুন টিকা নেন শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড়ের ভক্তিনগরের বাসিন্দা নেপাল চক্রবর্তী। কোভিশিল্ড টিকার ডোজ নিয়েছিলেন। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। নেপাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে দিন টিকা নিয়েছি, সেদিন রাতে চামচ দিয়ে খাবার খাচ্ছিলাম। মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে নজরে আসে ভিন রাজ্যের এক ব্যক্তির শরীর চুম্বকে পরিনত হয়েছে করোনা টিকা নেওয়ার পরে। তাতে আটকে যাচ্ছে হাতা, খুন্তি, চামচ। ব্যাস!
advertisement
সম্পূর্ণ কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে নেপাল চক্রবর্তী নিজে শরীরে পরীক্ষা করেন সেদিনই। তারপরেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। দেখা যায়, ভিন রাজ্যের সেই ব্যক্তির মতো তাঁর শরীরেও আটকে যাচ্ছে রান্নার নানা উপকরণ থেকে খুচরো পয়সা। চরম বিষ্ময়ে নেপাল চক্রবর্তী বিষয়টি জানান আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের। তবে টিকা নেওয়ার পর তাঁর শরীরে কোনো সমস্যা হয়নি। জ্বর বা গা, হাত, পা ব্যাথাও হয়নি। টিকা নেওয়ার আগেও যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন, জানিয়েছেন নিজেই। তবে আজ কিছুক্ষণ আগে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্কে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও। যদিও কোনওভাবেই এমনটা সম্ভব নয়, এর সঙ্গে কোভিশিল্ড বা টিকার কোনও সম্পর্ক নেই। দাবি শিলিগুড়ির বিশিষ্ট চিকিৎসক শঙখ সেন এবং বিজ্ঞান মঞ্চের কার্যকরী সভাপতি গোপাল দে-র। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এমন ঘটনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফল নাকি নয়, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের দাবি, টিকা নেওয়ার পরে অনেকের শরীরে অনেক সমস্যা হতে পারে, সেটা পরীক্ষা না করে বলাটা অমূলক। তবে এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, করোনাকে প্রতিহত করতে একমাত্র হাতিয়ার টিকা। তাঁদের দাবি, দেশের কোটি কোটি মানুষ টিকা নিয়ে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। ফলে, করোনা টিকা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
পার্থপ্রতীম সরকার