যদিও বিজেপির দাবি, উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ নিয়েই এই বৈঠক। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলীয় সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উত্তরে। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গে ভালো সংখ্যায় বিজেপি বিধায়ক জিতেছেন। কিন্তু লোকসভার ভালো ফল ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি।
বস্তুত বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দলবদলের জেরে বনগাঁ, বাঁকুড়ায় দলে ভাঙনের আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তড়িঘড়ি সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ও দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে আলোচনা করে আজই বনগাঁ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লক্ষ্য় একটাই, বিশ্বজিতের হাত ঘরে তৃণমূলে যোগদানের স্রোত আটকানো। অথচ শুভেন্দুর যাওয়ার কথা ছিল উত্তরবঙ্গে। সেখানে বৈঠক করার কথা ছিল ২৯ জন বিধায়কের সঙ্গে। কিন্তু বিশ্বজিত ও তন্ময়ের দলবদলে চাপে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। সেই কারণেই সফরসূচি বদল করছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গেও বেশ কয়েকজন বিধায়কের অনুপস্থিতি নতুন করে চিন্তা বাড়াল গেরুয়া শিবিরের।
advertisement