প্রথম দফায় পুরুষ ও মহিলাদের জন্যে পৃথক ১০টি করে ২০ বেডের এই কেয়ার সেন্টার তৈরী করে তুলেছে। শিলিগুড়ির তিনবাতি মোড়ে। যেখান থেকে খুব কাছেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। কেন এই কেয়ার সেন্টার? উদ্যোক্তাদের কথায়, অর্থের জন্যে বিনা চিকিৎসায় উত্তরবঙ্গের যেন কোনো কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু না হয়, সেজন্যেই এই সেন্টার গড়ে তোলা। ২০টি বেডের জন্যে থাকছে সমান সংখ্যক অক্সিজেন। এক্কেবারে নতুন বেড, অক্সিজেন সিলিণ্ডার রাখার সেল্ফ থেকে যা যা থাকে একটি হাসপাতালে, সবই থাকছে এখানে। এখানে আক্রান্তদের ভর্তির জন্যে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে আধার কার্ড বা যেকোনো সচিত্র পরিচয়পত্র।
advertisement
"২৪ ঘন্টাই থাকবেন চিকিৎসক, নার্স সহ প্যারা মেডিক্যাল স্টাফেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের চিকিৎসকও থাকবেন। রোগী এলে প্রথমে স্ক্রিনিং করে ভর্তি করানো হবে। মিলবে যাবতীয় ওষুধ। সঙ্গে বেড টি থেকে ডিনার। প্রোটিনযুক্ত খাবার। এক্কেবারে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। ফ্র্যুট জ্যুস বা ফ্র্যুট স্যালাডও," জানান ইণ্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্সের প্রজেক্ট চেয়ারম্যান হীরালাল আগরওয়াল।
এক্কেবারে নিঃখরচায়! চিকিৎসার জন্যে কোনো খরচই বহন করতে হবে না। শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গের অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে অক্ষম এমন পরিবারের রোগীদের কোভিড ট্রিটমেন্ট হবে এখানে। চাহিদা বাড়লে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের কার্যকরী সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার। সঙ্গে "বাইপ্যাপ" পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। এখন চলছে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি। আগামী সোমবার থেকে শিলিগুড়িতে পথ চলা শুরু করবে এই বিনে পয়সার কোভিড কেয়ার সেন্টার। কিছুটা হলেও আশার আলো দেখবেন উত্তরের দরিদ্র পরিবারের আক্রান্তরা।