প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সিকিম। ভয়ংকর তিস্তার ধ্বংসলীলায় নিখোঁজ বহু। একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। অনেকেরই খোঁজ পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যরা। মালদহের রতুয়া থানা পাড়ার বাসিন্দা ইনফোসিসে কর্মরত তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহা( ২৪ ) তাঁর তিনবন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিকিম। গত সোমবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে মোটরবাইকে করে সিকিমের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তিন বন্ধু। গন্তব্য সিকিমের পাহাড়ি লেক। সঙ্গী বাকি দুইজনের বাড়ি শিলিগুড়ি এবং বিহারে।
advertisement
সোমবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে রওনা হওয়ার পর রাতে সিকিমে হোটেলে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে সিকিম বেড়ানোর কিছু ছবিও হোয়াটসঅ্যাপ করে বাড়িতে পাঠান সুশান্ত। কিন্তু এরপর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই। সিকিমে প্রকৃতির তাণ্ডবের পর থেকেই আর কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারেননি কেউই। তাঁর দুটি ফোনেরই সুইচড অফ হয়ে রয়েছে। এরপর থেকেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের। বিভিন্ন টিভি ও খবরের কাগজে সিকিমের ভয়াবহতার ছবি দেখে এই মুহূর্তে চরম দুশ্চিন্তায় পরিবারের সকলেই। ইতিমধ্যেই রতুয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানিয়েছে পরিবার।
গত দু’দিন ধরেই মোবাইলে পাঠানো ছেলের ছবি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছেন মা শেফালী দেবী। চিন্তায় চোখে জল মায়ের। মাঝেমধ্যেই বসছেন মন্দিরে দেবীর কাছে ছেলের ফিরে আসার প্রার্থনায়।ছেলের চিন্তায় দিশেহারা ব্যবসায়ী বাবা সুধীর সাহা। ছেলের খোঁজ পেতে পুলিশ ও প্রশাসনই এখন ভরসা।