এর জেরে মেখলিগঞ্জের তিস্তার ফকতের চর, ৭২ নিজতরফ চর এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে। চরের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে গৃহপালিত পশু, ধান পাট সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে চর থেকে উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। অপর দিকে, মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট এলাকায় জল বাড়ার আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ! কালিম্পংয়ে সেনা নামাতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী, ভয়ে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ
সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত গাইড বাঁধ। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর। বাঁশ, বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ চলছে। মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারাও। জলস্তর বেড়ে সেতুর কাছাকাছি চলে আসায় তিস্তা সেতুর উপর যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
নতুন করে ধস দেখা দিয়েছে শিলিগুড়ি-কালিম্পং-সিকিমের বিকল্প পথেও। কাটারাতেও নেমেছে ধস। এই পথ ধরেই রেনক হয়ে সিকিম যাওয়া হয়। সেই পথও ধসে বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন: রাতভর প্রবল বৃষ্টি কলকাতায়, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস, জেনে নিন
বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকে কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে জানিয়েছেন, পাহাড়ি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনার সাহায্য নিতে হবে৷ সেই মতো প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানান, আপাতত কালিম্পংয়ে এক কলাম সেনাকে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
একদিকে পাহাড়ের হ্রদ ফেটে যাওয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইয়ে তিস্তা নদী, সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ খবর মিলেছে, হড়পা বানের তোড়ে ২৩ জন সেনা নিখোঁজ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷
