তিনি জানান, দুই পাহাড়ী শহরে রেল পরিষেবা চালুর বিষয় নিয়ে ইতিমধতেই এক দফায় সমীক্ষা করা হয়েছে। রেলের ভাবনাতেও তা রয়েছে। আলোচনা করছে মন্ত্রক। সঙ্গে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন জোড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তাহলে একদিকে বাড়বে পর্যটন, অন্যদিকে ব্যবসায়িক উন্নতিও হবে। ভারত এবং নেপালের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেল মন্ত্রক। সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, রেলের কাছে দীর্ঘদিন আগে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রেল তা ধাপে ধাপে কার্যকরী করবে।
advertisement
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি প্রাপকদের চিহ্নিত কী ভাবে? জেলাগুলিকে ১৫ দফা গাইডলাইন নবান্নের
এদিন রেলের জেনারেল ম্যানেজার আরও জানান, "সেবক ও রংপোর মধ্যে রেল লাইনের কাজ চলছে। ধসের জেরে বেশ কয়েকটি টানেল তৈরিতে বাধা আসে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। আগামী ২৩-এর ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে এই রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেবক স্টেশনকেও অত্যাধুনিক করা হচ্ছে যাতে সেবক থেকে দেশের অন্য প্রান্তের মধ্যে রেল যোগাযোগ চালু করা যায়।" এদিন দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সাংসদ রাজু বিস্তা।
অন্যদিকে সংস্কারের পর নতুন রূপ পেল দার্জিলিং স্টেশন। আজ এর সূচনা করেন সাংসদ রাজু বিস্তা। ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা, স্থানীয় বিধায়ক নীরজ জিম্বা। আগামিদিনে স্টেশনের দ্বিতলে রেস্তোরাঁ তৈরি হবে। প্ল্যাটফর্মে রেস্তোরাঁ কোচও থাকবে। সংস্কার করা হবে ডিজেল ইঞ্জিনের কারশেডেরও। উদ্বোধনের পর বলেন সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, "পাহাড়ে পর্যটনের প্রসারে ডিএইচআর একাধিক পদক্ষেপ করছে। আগামীদিনে আরও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সাজিয়ে তোলা হবে স্টেশন। বিশ্বমানের স্টেশন করা হবে দার্জিলিংয়ে।"