শীতলকুচি ঘটনার কতটা প্রভাব নির্বাচনের আগামী চার দফায় পড়তে পারে এনিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সায়ন্তন এদিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শীতলকুচির ঘটনার পর গুণ্ডারা ভয় পাবে। যাঁরা বুথ দখল করতে যাবে, ছাপ্পা দিতে যাবে,মানুষকে ভয় দেখাতে যাবে, তাঁরা ভয় পাবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর শীতলকুচি শহীদ মঞ্চে যাওয়াকেও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সায়ন্তন বসু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,মুখ্যমন্ত্রী অপর নিহত আনন্দ বর্মনের পরিবারের কাছে গেলে ভাল হত, কিন্তু তা যাননি। কারণ তিনি "দুধেল গরু"দেখেছেন বলে ওখানে গিয়েছেন। দুধেল গরু দেখলেই ওনার ভোটের কথা মনে পড়ে।
advertisement
বিজেপি সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে একশো জন মারা গিয়েছেন । কিন্তু,উনি সেখানে যাননি। সায়ন্তন আরও বলেন, শীতলকুচির ঘটনার পর চারিদিকে প্রচার করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরীহ মানুষকে খুন করে দিয়েছে। কিন্তু, ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার ভোটে পাটুলিতে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট বাপি ধর ওরফে অরবিন্দ ধর ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের গুলিতে মারা যান। সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ও নটরিয়াস ক্রিমিনাল, রিগিং করতে গিয়েছিল, গুলিতে মরে গিয়েছে।’’ সায়ন্তন আরও বলেন, ‘‘হিন্দুরা মরলে নটোরিয়াস ক্রিমিনাল, আর মুসলিমরা মরলে শান্তির দূত,- এমন প্রচার করা ঠিক নয়।’’
শীতলকুচি ঘটনায় পর আগামী দফা গুলিতেও রাজ্যে ভোট লুঠ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। যারা ভোট লুট করতে যাবেন তাঁরা বাঁধা পাবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিন মালদহের ইংরেজ বাজারে সদরঘাট এলাকায় দলের চা-চক্রের অনুষ্ঠানে যোগদেন সায়ন্তন। উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।
Sebak DebSarma