ঝোপ-জঙ্গলের ফাঁকে লুকোচুরি। তার ইচ্ছে হলেই মিলছে দেখা। ইতি উতি দেখা দিয়ে আবার কখনও ঘাপটি.... রয়্যাল মেজাজে হলদে কালো ডোরাকাটা।
শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকদের দেখা দিতে তৈরি বেভান। প্রস্তুতি চলছিল প্রায় পাঁচ মাস আগে থেকেই।
২০১৭-র ২৫ নভেম্বর ওড়িশার নন্দন কানন থেকে আনা হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বেভানকে।
এরপর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য খাঁচাবন্দি করে রাখা হয় রয়্যাল বেঙ্গলকে। মঙ্গলবার সাফারি পার্কে ছাড়া হল বেভানকে।
advertisement
এক জঙ্গল... এক শের...
এতদিন সাফারি পার্ক দাপিয়ে বেড়াত রয়্যাল বেঙ্গল স্নেহাশিস। বেভানকে ছেড়ে দেওয়ায় স্নেহাশিসকে খাঁচাবন্দি করেন বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় স্নেহাশিস।
এদিকে বন দফতরের অনুমান, সাফারি পার্কের বাঘিনী শীলা অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবের পরই নিশ্চিত হবে বনদফতর। তাঁকে বিশেষ যত্নে রাখছেন বনকর্মীরা।
বেভান আসার পর বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। বাঘিনী শীলা প্রসব করলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। পুজোর আগেই কি তাহলে আরও গর্জন শুনবে সাফারি পার্ক? আশায় পর্যটকরা।