এই সমস্যার কারণে পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অসুবিধায় পড়েন। স্থায়ী সেতু সংস্কারের কাজ এখনই সম্ভব না হওয়ায় প্রশাসন বিকল্প রাস্তার মাধ্যমে ছোট যানবাহনের চলাচলের ব্যবস্থা করেছে। গত ১৫ দিন ধরে দুধিয়ায় বালাসন সেতুর ওপরে হিউমপাইপ বসিয়ে বিকল্প পথ তৈরির কাজ জোরকদমে চলেছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাস্তার মূল অংশের কাজ প্রায় শেষ হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছট পুজোয় বিরল যোগ! আজ থেকেই সূর্যের কৃপায় কপাল খুলবে ৩ রাশির, শুরু হবে বাম্পার লাভ
এরপর মাটি ফেলে রাস্তা শক্ত করা হবে এবং পরীক্ষামূলকভাবে ছোট যানবাহনের চলাচল শুরু করা হবে। মিরিক পুরসভার প্রশাসক এল এন রাই জানান, দুধিয়ার মাধ্যমে মিরিক ও শিলিগুড়ির যোগাযোগ দ্রুত স্বাভাবিক করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করছি, সপ্তাহের মধ্যেই এই বিকল্প সড়ক চালু করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের পাইপলাইন ও অন্য ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর কাজও সমান্তরালভাবে চলছে। প্রায় ২২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ছোট গাড়ি চলাচল করবে। পরিস্থিতি দেখে বড় যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
পুরনো সেতুর পাশেই ইতিমধ্যে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুটি তৈরি করতে খরচ হবে ৫১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। সেতু তৈরির কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে। শিলিগুড়ি থেকে মিরিকগামী সড়কে দুধিয়ায় লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পূর্ত সচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা নিজেরা গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিদিন খোঁজ খবর নিয়েছেন।

