প্রশাসনিক স্তরে এটাকে রুটিন বদলি বলা হলেও, রাজনৈতিক আলোচনায় এর সাথে বাজিকাণ্ডের যোগ খুঁজে দেখছেন৷ এই আবহেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কথা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন : ‘দেখবি আর জ্বলবি…,’ হাইকোর্টের রায়ে বেজায় খুশি শুভেন্দু! উলটপুরাণ হঠাৎ কেন? কী কারণ?
advertisement
“যাই হোক মান্না দের কথাতেই বলি, যখন তুমি আমায় মাতাল বলো ,ধন্য যে হয় এ মাতলামি। ধন্য আমি ধন্য হে ,মাতাল তোমার জন্য যে। ভাল থেকো গ্লাস ফ্রেন্ড।” মন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই লাইনগুলো লিখেছেন৷ এই প্রসঙ্গের অবতারণা কেন, তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি৷
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাজি কাণ্ডে, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে যে কথা বলেছিলাম, ভালে মন্দ মিশিয়েই মানুষ, কোচবিহারের SP তেমনি দোষ গুণ মিলিয়েই একজন মানুষ। তবে তিনি মারকুটে নন। যদি লাঠি চালানোর ঘটনা ঘটে থাকে,তবে সেটা না হলেই ভালে হতো। যারা শব্দ বাজি বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন,তাদের বলি শব্দ বাজি সরকার বন্ধ করেনি,সরকার শব্দ বাজি বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। যারা শব্দবাজির পক্ষে তারা তাদের মতামত কোর্টে জানালে পারতেন।’’
এর পরেই সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী লেখেন, ‘আমার এই ব্যক্তিগত মতামত গুলো অনেকের পছন্দ হয়নি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে চোর বা মাতাল বলেছেন। যারা চোর বলেছেন তাদের বলব দয়া করে অভিযোগটা পুলিশকে জানান। মন্ত্রী বলে পুলিশ যদি অভিযোগ না নিতে চায় ,সরাসরি কোর্টে যান। প্রমাণ থাকলে কিছু একটা শাস্তি হবেই। আমি হয়ত দেখতে মাতালের মতো বা আমার কথাবার্তা মাতালদের মতো অসংলগ্ন বলে অনেকে মাতাল বলেছেন। তাদের জানাই আমি সকালে স্নান সেরে এক কাপ লিকার চা খাই সাধারণত সারাদিনে আর চা খাই না। সকালের ওই এক কাপ চাও দুটো বিস্কুটের নেশায় খাই,কারণ রাতে একটা রুটি খাই বলে সকালে একটু খিদে খিদে পায়। পান খাই না, তবে কথা বলতে গিয়ে বিশু ধরদের মুখের পানের ছিটে অনেক সময় জামায় লাগে, সেটা যদি খাওয়া হয় তবে কিছু করার নেই। ধুমপান করি না, একদম করি না বলা যাবে না। আমি প্যাসিভ স্মোকার অর্থাৎ আমার আশেপাশে যখন কেউ ধুমপান করেন সেই ধোঁয়া নাক মুখ দিয়ে আমার শরীরে প্রবেশ করে। মদ্যপান করি না। তবে চাট খেতে খুব ভাল লাগতো। অন্যরা মদ্যপান করতো, আমি তাদের চাট গুলো খেয়ে ফেলতাম।বন্ধু বান্ধব কিছু বলতে পারতো না।এখন সেটাও বন্ধ। বাইরে কিছু খাইই না।’’
