কোতুয়ালির বাইরেও মালদহে কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে বিষন্ন মালদহ। জেলার ডানপন্থী রাজনীতিতে যেন অভিভাবক হারানোর যন্ত্রণা। কলকাতার বাইরে সোমেন মিত্রের পছন্দের গন্তব্য ছিল মালদহ। বারবারই নিজে মালদহকে তাঁর ‘সেকেণ্ড হোম’বলতেন সোমেন। রাজনৈতিক গুরু গনিখানের সূত্রে বারবারই গিয়েছেন মালদহে। গনিখানের প্রত্যেক জন্মদিনে নিয়ম করে কলকাতা থেকে কোতুয়ালি পৌঁছতেন তিনি। গনির মৃত্যুর পরেও কোতুয়ালি পরিবার তাঁকে‘পরম আত্মীয়’বলে মনে করতেন।
advertisement
রাজনীতিই শুধু নয়, অনেক পারিবারিক বিষয়েও সোমেনের পরামর্শ ছিল কোতুয়ালির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মালদহ সফরে গেলে কোতুয়ালিতে তাঁর জন্য পছন্দের নানান মাছের পদ তৈরি হতো। মালদহের কোতুয়ালীতে মধ্যাহ্ন ভোজ নয়তো নৈশ ভোজ বাঁধা থাকত তাঁর। শেষবার গত ২৩ ফেব্রুয়ারী মালদহের কোতুয়ালিতে এসে খাবার খেয়ে যান তিনি। মালদহ থেকে আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং মৌসম নুরকে জোড়া সাংসদ করার পিছনেও সোমেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁদের হয়ে সামনে থেকে প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আবার ২০১৯ লোকসভায় দলত্যাগী মৌসমের বিরুদ্ধে কোতুয়ালী পরিবারের ঈশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী করার পিছনেও হাত ছিল সোমেন মিত্ররই।
'তিনি ছিলেন পরিবারের অভিভাবক'। মৃত্যুর খবর পেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া শোকস্তব্ধ আবু হাসেম খান চৌধুরী আর মৌসম নূরের। কোতুয়ালী পরিবারের বাইরেও মালদহের অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা কর্মীদের নানা ভাবে পাশে দাড়িয়েছিলেন সোমেন মিত্র। মালদহের সাবিত্রী মিত্র অকপটে জানিয়েছেন , সোমেন মিত্রের হাত ধরেই তাঁর তৃণমূলে আসা। সোমেন মিত্রই একবার তাঁর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। আবার কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর মতো নেতারাও বলছেন, তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন। সোমেন মিত্র এক ব্যতিক্রমী সাংগঠনিক নেতা। মালদহ কংগ্রেসে গনিখানের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সোমেন মিত্র ।
Sebak Deb Sarma