এ দিন সকালেই জলপাইগুড়ির দোমহনীতে পৌঁছে যেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল, সম্ভবত রেল লাইনে ফাটলের মতো কোনও সমস্যার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ যাত্রীদের একাংশের দাবি ছিল, অস্বাভাবিক গতিতে ছুটছিল ট্রেন৷
আরও পড়ুন: 'ট্রেন কি নিজে নিজে বেলাইন হয়!' বিস্ফোরক ইঙ্গিত রূপার, চাইলেন সিবিআই তদন্ত
advertisement
কিন্তু রেলকর্তাদের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রেলমন্ত্রী বলেন, 'আমি নির্দিষ্ট ভাবে বলছি, এই দুর্ঘটনার সঙ্গে রেল লাইনের ত্রুটি বা অতিরিক্ত গতির কোনও সম্পর্ক নেই৷ যেটুকু আমি বুঝতে পেরেছি, ইঞ্জিনের কোনও ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তবে কেন এই ত্রুটি হল, নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশ খুলে পরীক্ষার পরই তা বোঝা সম্ভব হবে৷' রেলমন্ত্রী দাবি করেন, যেহেতু দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, তাই তদন্ত রিপোর্ট আসতেও খুব বেশি সময় লাগবে না৷ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান অশ্বিনী বৈষ্ণব৷
রেল সূত্রে খবর, আজ রাতেই শিলিগুড়িতে পৌঁছবেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি৷ আগামিকাল থেকে টানা দিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবেন তিনি৷
আরও পড়ুন: ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে রয়েছে খেলনা, খাবার! উদ্ধার সব যাত্রী, শুরু লাইন পরিষ্কারের কাজ
তবে আরও একটি অভিযোগ ছিল, পুরনো আমলের আইসিএফ কোচ ব্যবহারের ফলেই দুর্ঘটনার অভিঘাত কামরাগুলির উপরে বেশি পড়েছে৷ একটি কামরার উপরে আর একটি কামরা উঠে গিয়েছে বা সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে৷ বিকানের এক্সপ্রেসে কেন এলএইচবি কোচ ব্যবহার করা হয়নি, রেলমন্ত্রীকে সেই প্রশ্নও করা হয়৷
যদিও রেলমন্ত্রী সরাসরি সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, সব ট্রেনে এলএইচবি কোচ ব্যবহার করার প্রক্রিয়া চলছে৷ তবে আইসিএফ কোচের ব্যবহার দুর্ঘটনার কারণ নয় বলেও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব৷