সোমবারও লকডাউন শুরু হওয়ার আগে মালদহের কয়েকশো মানুষ স্যানিটাইজারের খোঁজে কয়েকটি ওয়ুধের দোকানের সামনে লাইন লাগান। সকলে পাওয়ার আগে স্যানিটাইজার শেষ হয়ে যায়। প্রশাসনের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা দেখে অনুপ্রানিত হয়েছেন মালদা কলেজের অধ্যাপকেরা। এরপরেই সোমবার দুপুরে মালদা কলেজের রসায়ন বিভাগে শুরু হয় হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরী। বিভাগীয় ল্যাবে স্যানিটাইজার তৈরী শুরু করেন ল্যাব কর্মী অধ্যাপকেরা। প্রথম দিন পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কয়েক লিটার হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরী করা হয়েছে। আগামী আরও তৈরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিন হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরী করে কলেজ কর্মী আধিকারিকদের পাশাপাশি কলেজ চত্বরে একাধিক দোকানেও বিনামূল্যে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
advertisement
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট গাইড লাইন মেনেই এই স্যানিটাইজার তৈরী করা হচ্ছে। প্রথম দিন পরিমানে খুব বেশী না হলেও পরবর্তিতে বাজারে অ্যালকোহলের যোগান পেলে উৎপাদন বাড়ানো হবে। মালদহে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরী স্যানিটাইজার ইতিমধ্যেই পুলিশ,প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর,পুরসভা কর্মীদের চাহিদা অনেকটাই মিটিয়েছে। এবার মালদা কলেজও এগিয়ে আসায় করোনা যুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে।
Sebak DebSarma