এবার জলপাইগুড়িতে শিশুপাচার চক্রের হদিশ। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আড়ালে শিশুপাচার চক্র। মোটা টাকার বিনিময়ে বেআইনি পথে বাচ্চাদের দত্তক দেওয়া হত। যার মাথায় ছিলেন ময়নাগুড়ির প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তী। তদন্তে নেমে শনিবারই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রবিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি বিশেষ আদালতে তোলা হলে, ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
advertisement
জলপাইগুড়িতে কীভাবে চলত শিশুপাচার চক্র?
- জেলার অ্যাডপশন এজেন্সি 'নর্থ বেঙ্গল পিপলস ডেভলপমেন্ট সেন্টার'-এর চেয়ারপার্সন চন্দনা চক্রবর্তী
- জলপাইগুড়িতে শিশু দত্তক দেওয়ার লাইসেন্স এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে
- সংগঠনটির অধীনে একাধিক হোমও রয়েছে
- সেই হোমগুলি থেকেই বেআইনিভাবে শিশুপাচার করা হত বলে অভিযোগ
- ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ১৭টি শিশুকে চন্দনা চক্রবর্তী বেআইনি ভাবে দত্তক দিয়েছেন বলেও অভিযোগ
প্রায় আটমাস আগে শিশুপাচারের অভিযোগ জানিয়ে, সমাজকল্যাণ দফতরের অধীন চাইল্ড রাইট অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং বিভাগে চিঠি লেখে জলপাইগুড়ির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। তারপরই তদন্তে নামে সিআইডি। শনিবার 'নর্থ বেঙ্গল পিপলস ডেভলপমেন্ট সেন্টারের অধীনে থাকা তিনটি হোমে তল্লাশি চালান সিআইডি আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশকিছু নথি। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীকে। তদন্তে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠ যোগের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। যদিও শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীকে জেরা করে জেলায় শিশুপাচার চক্রের শিকড়ের খোঁজে তদন্তকারীরা।