গত ৪ অক্টোবর সিকিম পাহাড়ে বিধ্বংসী বন্যার জেরে তিস্তার জলে ভেসে আসে বহু দেহ। ভেসে আসে সেনার সরঞ্জাম। নদীর দু পাড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা সমরাস্ত্র উদ্ধার এবং নিস্ক্রিয় করতে দিনরাত সার্চ অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে রাত পোহালেই মহালয়া। মহালয়ার ভোরে প্রতি বছর জলপাইগুড়ির তিস্তার জলে তর্পণ করেন বহু মানুষ। এই বছর জল দুষণ এবং বিপদের ভয়ে তিস্তার জলে তর্পণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বঙ্গীয় পুরোহিত এবং যজমান সংঘ।
advertisement
আরও পড়ুন: তিনি নাকি কিছুই জানেন না! পার্থকে ফের জেলে গিয়ে জেরা, CBI-এর হাতে এবার নতুন তথ্য
সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী র বক্তব্য, জল এই মুহুর্তে দুষিত হয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে নদীর যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিষ্ফোরক। যজমান দের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই বছর তিস্তা ছেড়ে অন্যত্র তর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
জয়ন্ত বাবু আরও বলেন, ‘সদ্য সদ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে৷ মানুষ থেকে শুরু করে গবাদি পশুর মৃতদেহ নদীর জলে ভেসে এসেছে৷ ভারতীয় সেনার ভেসে আসা বিভিন্ন বিস্ফোরক, শেল যখন তখন ফেটে যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় তিস্তার জল দূষিত তো বটেই, অপবিত্রও বটে৷ তাই যজমানদের কথা ভেবেই এবার আমরা তিস্তায় কোনও তর্পণ করাব না৷’
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে সিকিমে হড়পা বানে ভেসে যাওয়া কুড়িটিরও বেশি দেহ সম্প্রতি তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে৷ শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, লাগোয়া কোচবিহার জেলাতেও তিস্তার জলে একাধিক দেহ ভেসে এসেছে৷ যার মধ্যে একাধিক সেনাকর্মীরে দেহও ছিল৷ এর মধ্যে অধিকাংশ দেহই এখনও শনাক্ত না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতােল মর্গে রেখে দিতে হয়েছে