শুক্রবার দিনহাটায় তৃণমূলের একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল৷ সেই অনুষ্ঠানেই প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'কেউ যদি সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করেন, বোমা বন্দুকের রাজনীতির চেষ্টা করেন, তাঁর দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে৷ তিনি যেই হোন না কেন৷ কোনও ছাড় নেই৷ ২৩-এর পঞ্চায়েতের উপরে ভিত্তি করে ২৪-এ লোকসভা তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতে চায়৷ যিনি মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করেছেন, রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: কিছুতেই বাংলা ভাগ নয়, উত্তরের আট জেলায় পঞ্চায়েতের প্রচারে বিশেষ জোর তৃণমূলের
পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহও হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, 'যাঁরা মস্তানি, বোমা, বন্দুকের রাজনীতি করতে চাইবে তাদের দাঁত ভেঙে দেওয়া হোক৷ তৃণমূলের কর্মীদের আঘাত করলে রুট ক্যানাল করব না,সাঁড়াশি দিয়ে দাঁত তুলে দেবো৷'
আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩০ হাজার নিষিদ্ধ মাদক-ট্যাবলেট, মালদহে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার আন্তঃরাজ্য চক্র
দুই তৃণমূল নেতার এই হুঁশিয়ারির পাল্টা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'ওনারা এসব বিজেপি-র দিকে বলছেন না, কোচবিহারবাসীর দিকে বলছেন৷ কারণ তৃণমূলের নিচু তলার নেতারা দলের নেতাদের উপরে ক্ষুব্ধ৷ কারণ নেতাদের দেওয়া টাকা মানুষ ফেরত পায়নি৷ গাছে বেঁধে লাগছে৷ সন্ত্রাস, বোম, বন্দুক আধিপত্যের রাজনীতির দিন শেষ হয়ে আসছে৷ কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন৷ কেউ দাঁত তুলতে যাবে না৷ ওঁদেরকেই রাতের অন্ধকারে দাঁতের ডাক্তারের খোঁজ করতে হবে৷'
লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরবঙ্গে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করাই লক্ষ্য তৃণমূলের৷ সেই লক্ষ্যপূরণে তৃণমূল নেতারা এখন থেকেই এতটা মরিয়া হয়ে উঠছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ আগামী বছরের শুরুর দিকেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে৷