একদিকে দেশের পশ্চিম অংশ যখন সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সঙ্গে লড়ছে ৷ পূর্ব অংশেও একপ্রকার যুদ্ধের সম্মুখিন হতে হচ্ছে দেশকে ৷ ভারতে পূর্ব দিককে বাংলাদেশের ISI ও জামাত গোষ্ঠী সন্ত্রাসের জন্য অন্যভাবে ব্যবহার করে চলেছে ৷
নোট বাতিলের ছ’মাস পর নতুন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ১৭টির মধ্যে প্রায় ১০টি ফিচার নকল করতে সফল হয়েছে আইএসআই ৷ কাগজের মানও প্রায় আসলের মতোই ৷ ফলে খালি চোখে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় ৷
advertisement
প্রথমে মালদহ থেকে বিপুল অঙ্কের জাল নোট উদ্ধার করেছে বিএসএফ ৷ এরপর ওই এলাকা থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে ৷
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মাধ্যমে নকল ও জাল নোট পাচার করা হচ্ছে ভারতে ৷ দেশের মধ্যে জাল নোটের ৮০ শতাংশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেই পাচার করা হয় ৷
নোট বাতিলের অন্যতম কারণ হিসেবে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ভারতীয় গোয়েন্দাদের মোতাবেক দেশে জাল নোটের বাড়বাড়ন্ত ৷ এই জাল নোট ব্যবহার করেই জঙ্গি জাল বিস্তার করতে চাইছে আইএস, মুজাহিদ্দিন-এর মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ জঙ্গিদের এই প্রয়াস ব্যর্থ করতেই রাতারাতি ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কিন্তু নতুন নোট বাজারে আসার পর তা জাল করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান ৷
সূত্রের খবর, এর আগে পাকিস্তানের করাচিতে ছাপা হত এই নকল নোট ৷ এখন তা বাংলাদেশে ছাপা হচ্ছে ৷ যে নোট মালদহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, খতিয়ে দেখা গিয়েছে তা বালাদেশি স্ট্যাম্প কাগজে ছাপা হয়েছে ৷