ভারী বর্ষণের ফলে বেশ কয়েকটি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী তিন দিনের জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে৷ জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের মাঝেই পাখির চোখ লোকসভা, এবার প্রকাশ্যে অভিষেকের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’
উত্তর সিকিম থেকে সোপাখার সংযোগকারী রাস্তার মধ্যে দুটি সেতু রয়েছে৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে দুটো সেতুই সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। আশপাশের এলাকায় গড়ে ওঠা ট্রাউট মাছ ও মুরগির খামারও ভেসে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
একইভাবে, পেলিং এবং গ্যালশিংয়ের সঙ্গে ডেন্টামের সংযোগকারী রাস্তাটি কালাজ নদী জলে সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি, একটি সিমেন্ট ভবন, দুটি শ্মশানের চালা।
লোয়ার ওখড়ের সোমবাড়িয়ায় দাওয়া সাঙ্গে শেরপার বাড়ি অবিরাম বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ার মুখে। যদিও বাড়িটি থেকে সব বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘এত ভয় কিসের?’ সুকান্ত-শমীকের নিশানায় এবার কে? কড়া প্রতিক্রিয়া
পাশাপাশি, সিকিম-পশ্চিমবঙ্গ সীমানা সংলগ্ন রামাম নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী এলাকায় সমস্ত অস্থায়ী সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মাঙ্গানের উত্তর সিকিম জেলা সদর থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তাটি পেগং সাপ্লাই খোলায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর সিকিমে প্রায় ৩,৫০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পড়ে অনেককেই উদ্ধার করে সেনা৷