এদিকে, বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার আরও পাঁচজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী। জেলায় খোলা হল ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ওড়িশার বালাসোরের কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়, আহতও হয়েছেন বহু যাত্রী। বাঁকুড়ার বহু যাত্রী ছিলেন ওই ট্রেনে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার পাঁচজন শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মিঠুনের ‘৬ মাস’ মন্তব্যে তোলপাড়, কী করতে চান বিজেপি নেতা? তুঙ্গে জল্পনা
তাঁরা সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে খড়গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরেন, চেন্নাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ট্রেন দুর্ঘটনায় অভিশপ্ত কামরায় থেকেও বেঁচে যান বলে দাবি ওই যাত্রীদের। ঘটনায় অল্পবিস্তর চোট পান তাঁরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বালাসোরে এসে বাস ধরে কোনও রকমে শনিবার দুপুরে বাড়ি ফেরেন তারা। শনিবার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের মধ্যে তিনজনকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: ওড়িশার হাসপাতালে ১৭০০ জনের লম্বা লাইন! কী ঘটল এমন? এক আবেদনই দারুণ ফল
খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে আহতদের সঙ্গে মহকুমা হাসপাতালে দেখা করতে যান খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মহকুমা প্রশাসনের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। রেল দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী, নিখোঁজ থাকা পরিবারের লোকজনদের যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘন্টার জন্য দুটি বিশেষ ফোন নম্বর।