বৈঠক শেষে বনমন্ত্রী জানান, জঙ্গল ঘেঁষা রেল পথে ট্রেনের গতি কমাতেই হবে। অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩০ কিমি বেগে মেইল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে। তবে কোনও মালগাড়ি চলবে না। এনজেপি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত রেল পথে ১৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। এখন সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮টি। অন্যদিকে জঙ্গল ঘেঁষা জাতীয় সড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়েতেও দ্রুত গতিতে চলা গাড়ির ধাক্কায় বন্য জন্তুদের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তা কমাতে সড়কে "রাবার ব্রেকার" বসানো হবে। সেইসঙ্গে "সামনে হাতির করিডর, গতি নিয়ন্ত্রণ করুন" লেখা সাইনবোর্ড টাঙানো হবে।
advertisement
অন্যদিকে জঙ্গল লাগোয়া চা বাগানে বেশ কয়েক জায়গায় লোহার ব্লেড ফেন্সিং লাগানো আছে। এর জেরে বন্য জন্তুদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার মতো ঘটনা এড়াতে দ্রুত তা খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় হুকিং এবং বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তা এড়াতে বিদ্যুৎ এবং বন দফতর যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এদিকে পুজোর আগেই বন দফতরের বিভিন্ন খালি পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। বিট অফিসার, রেঞ্জার, নিরাপত্তা রক্ষী, বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হবে। কিছু ক্ষেত্রে পদোন্নতি করা হবে। উত্তরবঙ্গেই প্রায় ৭০০ জন নিয়োগ হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিন দফতরের ভালো কাজ করা কর্মীদের উৎসাহ দিতে পুরস্কৃত করেন মন্ত্রী।
PARTHA PRATIM SARKAR