এই বিষয়ে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস দাস জানান, দীর্ঘ ৭৬ বছর আগে তাঁদের বাবা-কাকারা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তখন এই মন্দির অস্থায়ী মন্দির ছিল। সেই থেকে এই পুজো হয়ে আসছে এই এলাকায়। তবে বর্তমানে এই মন্দির পাকা হয়েছে। পুজোর জাঁকজমকও বেড়েছে বেশ অনেকটাই। ছোট পুজো এখন অনেকটাই বড় আকারে করা হয়ে থাকে। দিন যত গড়াচ্ছে পুজোর জাঁকজমক ততটাই বেড়ে চলেছে। আগামীতে হয়তো তাঁদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পুজোর দায়িত্ব সামলাবে। তবে এই পুজোয় মন্দির চত্বরে আসা সকল ভক্তদের প্রসাদ দেওয়া হয়।
advertisement
কোচবিহারের রাজবংশী সংস্কৃতির ব্যক্তি এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি ও লোকসংস্কৃতিতে অন্যতম জায়গায় রয়েছেন মাশান দেব। বহু মানুষ ভক্তিভরে এই দেবতার পুজো করেন। তবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাশান দেবতার মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে মূর্তিও পাওয়া যায় না, শুধুই নাম জানতে পারা যায়। একেবারে সাধারণ লোকাচারে আটিয়া কলা, চিঁড়া, দই, পোড়া মাছ দিয়ে দেবতাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।” পুজো কমিটির সদস্য রঞ্জিত রায় জানান, “এলাকার মানুষ এই পুজোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন।”
পুজোর দিনে এলাকায় রীতিমত উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়। ছোট থেকে বড় সকলেই পুজোর দিনে মন্দিরেই কাটান। এই দেবতা দেখতে কিছুটা ভয় হয় ঠিকই। তবে দেবতার এই রূপের কারণেই তাঁকে অনেকটাই সমীহ করে চলেন বহু মানুষজন। তবুও পুজোতে মানুষের ভিড় কমে না।