সম্মান বাঁচাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালয়েছিল নাবালিকা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির দুপুরে বাড়িতে তখন সে একা। বাবা- মা কাজে বেড়িয়েছিলেন। সেই সুযোগেই এলাকারই যুবক অজয় রায় তাদের বাড়িতে আসে। জোর করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। বাঁধা দিলে জামা, কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে অভিযুক্ত। শেষমেশ নাবালিকার চিৎকার- চেঁচামেচিতে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল নাবালিকা। হুঁশ ফিরতেই অদূরে দিদির বাড়ি ছুটে গিয়ে সব ঘটনা বলে। আলোচনা করে মেটানোর প্রক্রিয়া চালিয়েছিল গ্রামবাসী। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকের পরিবার সাড়া দেয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়।
advertisement
এরপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের নাবালিকার বাড়ি যায় অভিযুক্ত। মুখে কালো কাপড় বেঁধে। নাবালিকার গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে আসে, এই ঘটনা জানাজানি করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে তার বাবা ও মা'কেও মেরে ফেলা হবে। তখনও নাবালিকার বাড়িতে কেউ ছিল না। গত ১৪ এপ্রিল ঘর বন্ধ করে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় নাবালিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় নির্যাতিতা নাবালিকার। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন মৃতার বাবা ঝরিয়াকান্ত রায় এবং মা ললিতাবালাদেবী।