নিহতের নাম বাপি রায়৷ তিনি আবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামীও। বাড়ি ইসলামপুর থানার শিবনগর কলোনি এলাকায়। এর আগে বাপি রায় জাল মদ তৈরির অভিযোগে জেলও খেটেছেন। পাশাপাশি, জমির কেনা বেচা সহ ঠিকাদারি কাজও করতেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধে নাগাদ বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী৷ তখনই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে৷ ফোনে পার্টির কোনও মিটিং আছে বলে জানানো হয়৷ তারপরেই দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বাপি বেরিয়ে যান৷ বাপির স্ত্রীয়ের দাবি, ওই ধাবায় দলের লোকেরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সেখানেই চুলের মুঠি ধরে বসিয়ে সামনে থেকে খুন করা হয় তাঁর স্বামী বাপি রায়কে৷
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল জট! সোমবার পিএইচডি-র জন্য ভর্তি হচ্ছেন জেলবন্দি অর্ণব দাম
যদিও ঠিক কী কারণে তাঁর স্বামীকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী৷ ধাবা মালিকের ভাইয়ের দাবি, প্রায় ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা ভয়ে রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন আইজি নর্থবেঙ্গল৷ তিনি বলেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত চলছে।’’ যদিও তিনি ঘটনার বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি। ঘটনাস্থলের জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই এলাকা থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেছে ইসলামপুর থানা।
আরও পড়ুন: ছেলের শুভ আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে জগদগুরু রামভদ্রাচার্যের পদধূলি নিলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি
এলাকাবাসীর দাবি, বাপি ভাল স্বভাবের মানুষ ছিলেন। গ্রামবাসীর দাবি, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন নিহতের স্ত্রীয়ের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ ধাবা বন্ধ রেখে ধাবার মালিক ও এক কর্মীকে জেরা করছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
পার্থপ্রতিম সরকার, চঞ্চল মোদক