ডেলিভারি বয়ের অশালীন আচরণ ক্যামেরাবন্দি! তরুণীর শরীর স্পর্শের অভিযোগ! ভাইরাল ভিডিওয় চাঞ্চল্য
বীরভূমের রামপুরহাটের হাটতলা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী নাজমা চৌধুরী, দুই মেয়ে ও ভাইপো এখন দার্জিলিংয়ে হোটেলে কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছে। অন্য দিকে নলহাটির স্কুল শিক্ষক আব্দুল মতিন, তাঁর স্ত্রী আয়েশা রহমান ও দুই ছেলেও এখন দার্জিলিংয়ে। দুই পরিবার স্থানীয় একটি ট্রাভেল এজেন্সি সংস্থার মাধ্যমে তিন রাত চার দিনের প্যাকেজে পরিবার পরিজন নিয়ে দার্জিলিংয়ে পাহাড় সফরে গিয়েছে।
advertisement
কিন্তু পাহাড়ে পৌঁছে তাঁদের পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে ভূমি ধসে রাস্তা বন্ধ। বন্ধ যাতায়াতের পথ। তাঁরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তাঁরা এখন দার্জিলিং শহরের একটি হোটেলে বন্দি।
রামপুরহাট ১ ব্লকের তাতবান্দা গ্রামের চার যুবক-বিশ্বজিৎ ভান্ডারী, গোপাল সাহা, ও তাঁদের এক বন্ধু গত শুক্রবার দার্জিলিং গিয়েছেন। তাঁরাও এখন সেখানে আটকে।
এছাড়া নলহাটি ১নম্বর ব্লক এর বুজু গ্রামের পাঁচজন যুবক একইভাবে দার্জিলিঙে বিপর্যয়ের মধ্যে আটকে পড়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিগ্ন। রামপুরহাটের হাটতলার বাসিন্দা মহম্মদ সরিফুদ্দিন বলেন, “হোটেলে আটকে আছি। কবে বাড়ি ফিরতে পারব, তা নিয়ে চিন্তায় ভীষণ চিন্তায় আছি। সেখানকার প্রশাসনের তরফ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
বিশ্বজিৎ ভাণ্ডারী বলেন, “আমাদের মতন অনেক পর্যটকই এখানে আটকে। অনেকে ঘুরপথে ফিরছেন। তবে এখন আমরা ঝুঁকি নিচ্ছি না। যাতায়াতের রাস্তা ঠিক হলে আমরা ফিরব। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বারংবার কথা হচ্ছে। সকলকেই চিন্তা না করতে বলেছি।” তবে সব মিলিয়ে চিন্তায় রয়েছে বীরভূমের একাধিক পরিবার।