#শিলিগুড়ি: বড় দিনের আগে পর্যটকেরা নতুন উপহার পেল। সোমবার থেকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে চালু হল ট্র্যাকলেস টয়ট্রেন। দার্জিলিংয়ের গর্ব হেরিটেজের আদলেই তৈরি করা হয়েছে ট্রেনটি। ইঞ্জিন এবং দুই কামরার ট্রেন। প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে ট্রেনটি তৈরি করেছে রাজ্যের পর্যটন এবং বন দপ্তর। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দপ্তরের মন্ত্রী এই ট্র্যাকলেস টয়ট্রেনের উদ্বোধন করেন। ৩০জন পর্যটক নিয়ে ট্রেনটি ছুটবে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। টয়ট্রেনে চেপেই একাধিক সাফারি করতে পারবে পর্যটকেরা। মাথাপিছু ভাড়া ২৫ টাকা করা হয়েছে। এক্কেবারে অত্যাধুনিকভাবে ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরাও। ডিজেলেই চলবে ট্রেনটি একটি নির্দিষ্ট রুট ধরে।
advertisement
এদিন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় নিজেই ট্রেনের স্টিয়ারিং ধরেন। পাশে বসেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এর মধ্যদিয়েই পর্যটকদের জন্য নতুন পরিষেবা চালু হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। নানা পাখির খাঁচা এবং ঘড়িয়াল, স্নেক পার্কের মধ্য দিয়ে চলবে টয়ট্রেন। তবে টয়ট্রেনে চেপে লেপার্ড, শিম্পাজি, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এনক্লোজারে যেতে পারবে না পর্যটকেরা। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং পর্যটকদের দুটি কামরায় থাকছে আলার্মও।
এদিন নয়া পরিষেবা চালু করার পর বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে সাফারি পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে আরো কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হবে। যাতে পর্যটকদের কাছে সাফারি পার্ক আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই সাফারি পার্ক। বাটার ফ্লাই পার্ক তৈরি করা হবে। বিদেশের ধাঁচে বার্ড পার্ক তৈরি করা হবে। দ্রুত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।
গত বছরে তিন লাখ পর্যটক এসেছিল সাফারি পার্কে। প্রায় তিন কোটি টাকা আয় হয়েছিল। চলতি বছরেও সংখ্যাটা টপকে যাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, বড় দিনের উৎসবের আগে এই উপহার পর্যটকদের জন্যে। আরো নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এমন উপহারে শীতের শুরুতেই খুশি পর্যটকেরা। এমন উদ্যোগেরও ভূয়শী প্রশংসা পর্যটকদের। সব মিলিয়ে সাফারি পার্কের গৌরবের পালকে নতুন মাত্রা যোগ হল সোমবারে। রাজ্যের নয়া উপহারে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। এতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।