১০ জুন বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের সাতটি দোকান। ওই অংশে মোট কুড়িটি দোকান ছিল। অভিযোগ, সাতটি দোকান আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর বাকি তেরটি দোকান নিজস্ব লোহার কাঠামো তৈরি করে আরও এক তলা তুলে ফেলে। বিষয়টি পর্যটনমন্ত্রীর নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শনিবার, তের-ই জুলাই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রাগে ফেটে পড়েন গৌতম দেব।
advertisement
রেগে অগ্নিশর্মা মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের কড়া ধমক দিয়ে অবিলম্বে সরকারি জমি থেকে দোকানের বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা পালটা পথে নামেন। সোমবার কুড়িটি দোকানে নোটিস পাঠায় এসজেডিএ। নোটিসে বুধবারের মধ্যে দোকানের বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়
নিজেরা দোকান না খুললে ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়৷
মঙ্গলবার দোকানের উপরের অংশ খুলে নেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার এই নিয়ে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক, এসজেডিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান। বৈঠক হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,
--আগামী দু্’মাসের মধ্যে নতুন নকশা তৈরি করে কুড়িটি দোকান তৈরি করে দেবে এসজেডিএ
---তার মধ্যে বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলা হবে
--ধীরে ধীরে বিধান মার্কেটের সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা ববে
মন্ত্রীর উপর আস্থা আছে। জানালেন বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।
নতুন দোকানের নকশা তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ততদিন নিজেদের দোকানঘর ভাঙতে নারাজ ব্যবসায়ীরা।