শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির কালো মাথা কাস্তেচরার বাসস্থান ও প্রজননের স্থান! মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পাখিদের অবাধ বিচরণ। বাচ্চা দিয়ে সেই শাবকদের বড় করে শীতের আগেই অন্যত্র চলে যায় এই বিপন্ন প্রজাতি! বছর ঘুরতেই ফের আগমন হয় কালোমাথা কাস্তেচরার। বিপন্ন তালিকায় থাকা এই পাখির সংরক্ষণ নিয়েই গণনা শুরু করল শিলিগুড়ি হিমালয়ান নেচার এডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও কার্শিয়াঙ বনদফতর।
advertisement
আরও পড়ুন : শতায়ু হয়েও ফের শৈশবের চমক! নাতি-নাতনিরা আনন্দে যা করল, জানলে অবাক হবেন আপনিও
জানা গিয়েছে, এবছর গণনায় কমছে এদের সংখ্যা! যা ভাবাচ্ছে পরিবেশপ্রেমীদের। উত্তরবঙ্গের মেচী নদী তীরবর্তী নকশালবাড়িতেই কালোমাথা কাস্তেচরা ৬ মাস ধরে থাকে। মার্চ মাসে নেপাল থেকে আসা এই পরিযায়ী পাখি এখানেই বাসা তৈরি। প্রজনন ও শাবকদের পরিচর্চা করে। গত বছর ৩৮০টি কাস্তেচরার খোঁজ পাওয়া গেলেও এবছর কমেছে এই বিপন্নপ্রায় পাখির সংখ্যা। নকশালবাড়ির পুরানো গাছেই বাসা বেঁধে থাকা এই প্রজাতি অন্যতম খাবার হল গাছের ফল ও চাষের জলা জমির পোকা, কাঁকর ও মাছ!
আরও পড়ুন : দু’বছরে ২৫ রাজ্য, ২৩ হাজার কিলোমিটার! অর্থকষ্টে ৪০ দিন মজুরি, তারপর নতুন সাইকেল! হার না মানা ভারত ভ্রমণ
কিন্তু কালের প্রবাহে পুরনো গাছের ডাল ভেঙে পড়া এবং চাষের জমিতে কংক্রিটের নির্মাণ হওয়ায় কমছে এই পাখির সংখ্যা। জানা গিয়েছে, সচেতনতার পাশাপাশি বাসস্থান ও খাদ্য সংস্থানও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত. জলাজমি সংরক্ষিত করতে পারলেই সংখ্যা বাড়বে।
এই বিষয়ে বন দফতরের এনডিএফও জানান, সচেতনতা একমাত্র সংরক্ষণের উপায়। নকশালবাড়ির ব্যস্ত জায়গা ঘাটানি মোড়ে যানবাহনের হর্নেও এরা বাস করে। স্থানীয়রা যথেষ্ট সচেতন! আরও যাতে সবাই সচেতন হতে পারেন, তার কাজ করা হচ্ছে। মত কার্শিয়াঙ বন দফতরের এডিএফও’র।