TRENDING:

মালদহে স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের ১৫ লক্ষ টাকা গায়েব, বঞ্চিত প্রায় দেড়শো পড়ুয়া

Last Updated:

Maldah- তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মাথাপিছু সরকারের বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা। অথচ, এই টাকা প্রকৃত পডুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে যাচ্ছে কার্যত ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টে। মালদহে অন্তত তিনটি স্কুলের ক্ষেত্রে এমন বড়সড় অনিয়ম ধরা পড়ল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: মালদহে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের বড়সড় অনিয়ম। অন্তত দেড়শো পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি কার্যত উধাও। প্রশ্নের মুখে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। থানায় অভিযোগ দায়ের। তদন্তে পুলিশ। চক্ষু চড়কগাছ জেলা শিক্ষা দপ্তরের।
News18
News18
advertisement

তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মাথাপিছু সরকারের বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা। অথচ, এই টাকা প্রকৃত পডুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে যাচ্ছে কার্যত ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টে। মালদহে অন্তত তিনটি স্কুলের ক্ষেত্রে এমন বড়সড় অনিয়ম ধরা পড়ল।

দেখা যাচ্ছে, একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের তালিকায় ছাত্রদের নাম ঠিক রয়েছে, স্টুডেন্ট কোড ঠিক রয়েছে, কিন্তু ব্যাংকের আইএফএসসি কোড এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার বদলে গিয়েছে। ফলে প্রকৃত প্রাপক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে বদলে টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।মালদহে ট্যাবের টাকা গায়েবের সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুলে।

advertisement

আরও পড়ুন- বাবার বকুনি খেয়ে ছেলে যে কাজ করল…! ঘণ্টার পর ঘণ্টা এলাকায় হুলুস্থুল কাণ্ড!

এখানে ৯১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট নম্বর রহস্যজনকভাবে বদলে গিয়েছে। এর মধ্যে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রয়েছে ৪১ জন। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া রয়েছে ৫০ জন। ইতিমধ্যে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হবিবপুর থানায় এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে স্কুলের এক করণিক এই ডাটা এন্ট্রির কাজ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

advertisement

অর্থাৎ শুধু এই স্কুল থেকেই লোপাট ৯ লক্ষেরও বেশি টাকা। অভিযোগ পেয়ে আজ ওই স্কুলে তদন্তে পৌঁছয় হবিবপুর থানার পুলিশ। থানায় অভিযোগের পরেই বেপাত্তা করনিক। কীভাবে ঘটল এমন অনিয়ম? প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দুলাল মন্ডল। তিনি সাফাই দিচ্ছেন সবই জানে করনিক।

জানাগিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে হইচই শুরু হওয়াতে মালদহ জেলা শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্ত পড়ুয়া ঠিকঠাক টাকা পেয়েছে কিনা তা লিখিত আকারে জানাতে বলে। এই রিপোর্ট হাতে আসতেই ধরা পড়ছে অনিয়ম। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে ৩৪ জন ছাত্রের টাকা গায়েব।

advertisement

আরও পড়ুন- শীতকালে এই কাজ না করলে কিন্তু বড় বিপদে পড়তে পারেন! জানুন

তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা না পড়ে টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। শনিবার জেলা শিক্ষা দপ্তরে এসে গরমিলের কথা স্বীকার করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। একইভাবে মালদহের গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েতের ডোবাখোকশান বৈরডাঙী ক্ষান্তরানী হাইস্কুলে আরও ১৮ জন ছাত্রের টাকা উধাও।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ছট পুজো ঘাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ি! জারি করা হল 'এইসব' নির্দেশ
আরও দেখুন

ওই দু’টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দপ্তর। যদিও ওই দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে কিভাবে গরমিল হল তা নাকি তাঁরা কিছুই জানেন না। ছাত্রদের ট্যাবের টাকার গরমিল রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস। তিনটি স্কুলের অনিয়ম নিয়ে পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
মালদহে স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের ১৫ লক্ষ টাকা গায়েব, বঞ্চিত প্রায় দেড়শো পড়ুয়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল