বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পশুখামার সংলগ্ন ঘরে আত্মঘাতী হয় ১৮ বছরের মনীশ সারকি। ঘরটা দেখে চমকে উঠতে হবে। মোমো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সব প্রমাণই যেন হাজির। দেওয়ালে লেখা গেমের খুঁটিনাটি বর্ণনা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ভিডিও গেমে নেশা পেয়ে বসেছিল মনীশকে। তবে মনীশ মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন কিনা, তা বলতে পারেনি তার পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোমো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সম্ভাবনাও।
advertisement
মোমো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পরিণতিতেই কি মৃত্যু? উত্তর মিলতে পারে মণীশের ফোনে। ডার্ক ওয়েবে অ্যাকাউন্ট খোলার পর ফোনেই আইডেন্টিফিকেশন মেসেজ আসার কথা। কোড নম্বর না দিলে মোমো গেমে ঢোকা সম্ভব নয়।
পাহাড়ের অন্যতম নামী স্কুলের পড়ুয়ার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিক অন্যরা। সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, ব্লু-হোয়েল গেমের তুলনায় মোমো অনেক বেশি বিপজ্জনক। টার্গেট ফাঁদে না পড়া পর্যন্ত রেহাই দেয় না গেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা। তাই সতর্ক না হলে চরম বিপদ !
কার্শিয়াং থেকে প্রণব ছেত্রী, নিউজ18 বাংলা