ধূপগুড়ির বানারহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেড সমস্যায় মেঝেয় চিকিৎসা হচ্ছে নবজাতকদের। সদ্যোজাতের পাশেই রয়েছে ডায়েরিয়ার রোগী। গত কয়েক দিন ধরে এভাবে গাদাগাদি করে চলছে চিকিৎসা। এই হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে মাত্র ছটি বেড। কিন্তু রোগী বাইশজন। তাই অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয়েছে মেঝেয়। যে কোনও সময় সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রোগী ও তাদের পরিজনের। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্মীরাও। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য এই নিয়ে কথা বলতে চাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের লোপাট হওয়া টাকা ফেরত দিল কানাড়া ব্যাঙ্ক
এই মুহূর্তে কুড়ি জন ভরতি, নজন শিশু, মেল ও ফিমেল ওয়ার্ড মিলিয়ে বেড দশ, মেঝেতে রোগী রাখতে হয়, পরিষ্কার করার মতো পরিস্থিতি নেই, এলাকা না বাড়া পর্যন্ত অবস্থা বদলাবে না ৷ হাসপাতালের রোগী সুন্দরমণি বলছেন, বেড নেই তাই বাচ্চাদের মেঝেতে রাখা হয় ৷ শিশু অসুস্থ তবুও মেঝেতে রয়েছে ৷ ডাক্তারকে বললেও কাজ হয়নি ৷
সান্ত্বনা বিশ্বাস নামে রোগীর আত্মীয় বললেন, শনিবার সন্তান হওয়ার পর থেকে মেঝেয় রয়েছে শিশু ৷ কেউ কেউ মানিয়ে নিলেও ক্ষোভও রয়েছে সমানভাবে ৷
ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেঝেয় সদ্যোজাত, ডায়েরিয়া আক্রান্ত পাশাপাশি, সংক্রমণের আশঙ্কা, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা সমস্যার কথা মেনেছেন, সিএমওএইচ বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম। রোগীদের চাপ থাকার সমস্যা রয়েছে। একজনকে ইনজকেশন দিতে হলে আর একজনকে টপকে যেতে হচ্ছে। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে কেউ জানে না ৷