সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দেড় বছর আগে। নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক দিলীপ সর্দারের। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা জটেশ্বরের কাঁঠালগুড়ি গ্রামের ঘটনা। দুজনের বাড়ি থেকেই মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙে দিতে চায় ছাত্রী। তার বাড়ি থেকে বিয়ের চেষ্টাও শুরু হয়।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ দিলীপ মেয়েটির বাড়িতে আসে। জানলা দিয়ে তাকে বাইরে আসতে বলে।
advertisement
পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীকে শেষবারের জন্য দেখা করার অনুরোধ করে দিলীপ ৷ বাইরে এলে জোর করে তাকে পাশের ঝোপে টেনে নিয়ে যায় ৷ সেখানে অশালীন আচরণ শুরু করলে বাধা দেয় নাবালিকা ৷ তখন তার মুখ চেপে হাত -পা বেধে গাছের সঙ্গে বেধে ফেলে দিলীপ ৷ মুখে কাপড় গুঁজে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার শরীরে ৷
মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফালাকাটা হাসপাতাল। পরে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছাত্রী। দেহের আশি শতাংশ পুড়ে গেছে। ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির পরিবার। দিলীপ ও তার পরিবার পলাতক।
আক্রান্ত ছাত্রীকে অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে আক্রান্তের পরিবার।